সংক্ষিপ্ত
কালিয়াগঞ্জের নির্যাতিতার নিরথ দেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী।
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ছিলেন। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, রাজ্য পুলিশ তাঁর দেহ অসম্মানজনকভাবে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে নির্যাতিতার নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশ, তেমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন মৃত্যুর পরেও নির্যাতিতাকে অসম্মান করছে পুলিশ। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারি বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বিধায়ককে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বিধায়ককে দীর্ঘক্ষণ থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রেখে দিয়েছিল রাজ্য পুলিষশ।
শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, বিজেপি নেতা কাঞ্চন গুপ্তও একই ভিডিও পোস্ট করে রাজ্য পুলিশের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় মানবতির নির্মম অবক্ষয় ঢাকতে উত্তর প্রদেশের সরকারের প্রসঙ্গ বারবার তুলে এনে তীব্র সমালোচনা কপা হয়। কিন্তু ক্ষমতা অন্য ছবি দেখায়। তিনি বলেন এই রাজ্যে মোদী বিরোধী এজেন্ডা প্রকাশ করাই মূল। কিন্তু রাজ্য পুলিশের নির্মম আচরণ নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না।
ফ্যাক্ট বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীও এই ভিডিও পোস্ট করেছে। রাজ্যে
পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম আচরণের অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি মা মাটি মানুষের সরকারের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছে এই বিষয়ে।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রের খবর, কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী। এলাকারই এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হন। সেখানেই তারা জানতে পারে নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর নিথর দেহ।
পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি
নাবালিকার দেহ ঘিরে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারপরই পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বেঁধে যায়। দেহ উদ্ধারে বাধা দেয় স্থানীয়রা। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি ছিল আগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা। কিন্তু পুলিশ জোর করে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠাতে চাইলে এলাকা রণক্ষেত্রের আকার নয়। স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশেকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া হয়। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালান হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ প্রথমে ইট ছুঁড়েছে। তবে পুলিশ ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে। হবেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গতকালই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি কালিয়াগঞ্জে যান নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। গতকাল তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন,উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে আরেক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটি রাজবংশী (এসসি) সম্প্রদায়ের। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে পরিবারের সদস্যদের মারধর ও চাপ দিচ্ছে। এই ঘটনা লজ্জার বলেও টুইট করেন তিনি।