Maldah News: নায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্রে সক্রিয় দালাল চক্র। শাসক-বিরোধী অভিযোগ বনাম পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত মালদহের রাজনীতি। ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Maldah News: সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে সক্রিয় দালাল চক্র। বিক্রি হচ্ছে বিহারের নিম্নমানের ধান। বঞ্চিত বাংলার চাষীরা। অভিযোগ, নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ধলতা। এরকমই একাধিক অভিযোগ এবার চাষীদের নিয়ে বিক্ষোভে তৃণমূল নেতার। অন্যদিকে তৃণমূলের মদতেই দুর্নীতি হচ্ছে। পাল্টা খোঁচা বিজেপির। বাংলার সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হচ্ছে বিহারের ধান। বঞ্চিত বাংলার চাষীরা। সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ধলতা। ফোরেদের দাপটে মাথায় হাত চাষীদের।

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে:- 

তৃণমূল নেতাদের মদতেই সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে সক্রিয় দালাল চক্র।দালাল চক্রের দাপটে বিহারের নিম্নমানের ধান বিক্রয়ের কথা ক্যামেরার সামনে শিকার দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীর। চাষীদের নিয়ে বিক্ষোভে তৃণমূলের আরেক অংশ। ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ব্যাপক দুর্নীতির এই অভিযোগ সামনে এসেছে।

এলাকার চাষীদের অভিযোগ দালালদের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী বিহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্নমানের ধান এখানে বিক্রি হচ্ছে। সরকার সেই ধান ক্রয় করছে। কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছে বাংলার চাষীরা। নির্দিষ্ট পরিমাণ যে ধান কেনার কথা। তার থেকে কম ধান কেনা হচ্ছে এলাকার চাষীদের কাছ থেকে। সঙ্গে প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান ধলতা নেওয়া হচ্ছে।যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিন চাষীদের নিয়ে বিক্ষোভে নামেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা স্বপন আলী।

তিনি অভিযোগ করেন ফোরেদের দাপটে চাষিরা এখানে আসতে পারছে না। বিহার থেকে ধান নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে চাষীদের থেকে ৯০ কুইন্টাল ধান কেনার নিয়ম। সেখানে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫ কুইন্টাল।অন্যদিকে ধান ক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মী মতিউর রহমান দালাল চক্রের সক্রিয়তার কথা কার্যত স্বীকার করে নেন।

 কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যখন তৃণমূল নেতা চাষীদের নিয়ে সরব।তখন কাদের মদতে এই ভাবে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণটাই হচ্ছে তৃণমূলের মদতে। দালাল চক্রে সক্রিয় ভাবে যুক্ত তৃণমূল নেতারাই। এখন দেখার বিষয় এই ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।আদেও চাষীদের স্বার্থ রক্ষা হবে।না কি এই ভাবেই চলবে দালাল চক্র।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।