পুরনো দিনের এক সতীর্থকে শহিদ দিবসের প্রাককালে হারালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীরা।

রাত পোহালেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত কর্মসূচি ২১ শেষ জুলাইয়ে শহিদ দিবস। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধর্মতলায় সমবেত হবে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময় বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন হাওড়ার বাগনানের হাটুড়িয়া গ্রামের যুবক অনিল মিশ্র। "নো আইডেন্টিটি কার্ড ও নো ভোট"আন্দোলনে সামিল হন। সেই আন্দোলনে গুলি চলেছিল। তেরো জন মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেই আন্দোলনে হাওড়ার একমাত্র মমতা অনুগামী অনিল মিশ্র গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেই অনিল মিশ্র প্রয়াত।

পুরনো দিনের এক সতীর্থকে শহিদ দিবসের প্রাককালে হারালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের বাগনানের সভাপতি নয়ন হালদার জানিয়েছেন, উনি প্রথম দিনের তৃণমূল কর্মী। দলকে ভালবাসতেন। শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক অরুণাভ সেন। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃক্ব। স্থানীয়দের কথায় অনিল মিশ্র ছিলেন নির্ভেজাল তৃণমূল কর্মী। দুর্নীতি ছুঁতে পারেনি তাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনও ডাকেই তিনি ছুটে যেতেন। প্রত্যেকবার শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ধর্মতলায় যেতেন। এবার তিনি থাকবেন না।

পরিবারের সদস্যদের কাছে এখনও সেই ১৯৯৩ সালের স্মৃতি টাটকা। গুলিবিদ্ধ হয়ে অনিল মিশ্র সেই সময় ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এর পর তার আর কোন খোঁজ মিলছিল না। সহযোগিদের বাড়িতে না জানাতে বলেন ।এরপরে আট দিন পর তিনি বাড়ি ফেরেন এবং তখন স্ত্রী জানতে পারেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। গত শনিবার এ হেন মমতাপন্থী মানুষ মারা যান। ফলে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত বিছানায় শুয়ে তিনি এবছর ২১ জুলাই যেতে না পারার আক্ষেপ করেছেন। সেই মানুষ আজ নেই। ইতিমধ্যেই তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানো হয়েছে বাগনান তৃণমূল কংগ্রেস।বাগনান কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়ন হালদার জানান,"উনি প্রথম দিনের তৃণমূল কর্মী।পাগলের মতো দলকে ভালো বাসতেন। ওনার মৃত্যুতে বিধায়ক অরুণাভ সেন সহ গোটা তৃণমূল পরিবার শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে।পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।