সংক্ষিপ্ত
সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন নরুল ইসলাম।
দীর্ঘ দিন পরে জামিন পেয়ে দুর্গাপুজোর আগেই নিজের বীরভূমের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলে গেলেও তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। সোমবার সিউড়িত একটি সভা থেকেই তিনি ঘোষণা করেন তাঁর পদত্যাগের কথা। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কবে তিনি জেলা সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন নরুল ইসলাম। এই কথা শুনেই অনুব্রত তাঁকে ভাই সম্বোধন করেন। একই সঙ্গে বলেন, 'দুই ভাই একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পদ ছাড়ব।' এদিন অনুব্রত জানিয়ে দেন কবে তিনি ও নুরুল একই সঙ্গে কবে পদ ছাড়বেন। অনুব্রত বলেন, 'বন্ধু নুরুল, ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে জেলা সভাপতির পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াব। তখন তুমিও ব্লক সভাপতির পদ ছেড়ে দিও। দুই ভাই একই সঙ্গে দলের পদ ছাড়ব।' তিনি আরও বলেন 'নুরুল খুব ভাল ছেলে। আমরা একই সঙ্গে রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করেছি একসঙ্গে কাজ করছি। আমি নুরুলকে বলব এখনই পদ না ছাড়ার কথা। আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রে দেওয়ার পরে ছাড়তে হলে একসঙ্গে দাদা-ভাই মিলে ছাড়ব।'
সোমবার সিউড়ির পুরন্দরপুর এলাকার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন কবে তিনি দলের পদ থেকে বিদায় নেবেন। নুরুল দলের পদের পাশপাশি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্যের দায়িত্বেও রয়েছেন। জেলা রাজনীতিতে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট বলেও পরিচিত। অনুব্রত তিহার জেলে থাকার সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধপন্থীদের দাপট বাড়ছে। যদিও বীরভূমে ফিরেই দলের রাশ নিজের হাতে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।