সংক্ষিপ্ত

তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন মণ্ডল। চরম কষ্টে দিন কাটছে। আজ আশার আলো দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিন মামলার শুনানি।

 

তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। জেল সূত্রের খবর রীতিমত কষ্টে রয়েছেন দিল্লির দাপুটে তৃণমূল নেতা। একে অসুস্থ। তারওপর খাবারেরসমস্যায়। প্রিয় খাবার মাছের ঝোল ,আলুপোস্তর বদলে পাতে পড়েছে পেঁয়াজ রসুন ফোড়ন দেওয়া উত্তর ভারতের থকথকে ডাল। স্বাদ হারানো বাঁধাকপির তরকারি। যাইগহোক এই সমস্যার মধ্যেও আশার আলো দেখছেন গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। কারণ আজ দিল্লি হাইকোর্টের দীনেশ শর্মার বেঞ্চে শুনানি হতে পারে অনুব্রত জামিন মামলার।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার ও দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ও আদালতের এক্তিয়ারকে একযোগে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর সেই মামালারই শুনানি হতে পারে এদিন। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই জামিন পেতে নিজের আইনজীবীদের সবরকম চেষ্টা করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, জামিনের জন্য অনুব্রত অসুস্থতাকেও হাতিয়ার করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ শর্মার বেঞ্চে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। তারই মধ্যে অন্যতম হল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, ইডি অনুব্রতর জামিনের তীব্র বিরোধীতা করবে। প্রভাবশালী তত্ত্বও খাড়া করবে জামিন আটকাতে।

গরুপাচার-কাণ্ডে দিল্লির রাউস অ্যাভেনেউ কোর্ট অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তারপর থেকেই তিহার জেলে ঠাঁই হয়েছে তৃণমূল নেতার। সূত্রের খবর সেখানে তাঁর জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বাকি কয়েদিদের মতই রাখা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশে চিকিৎসা আর ওষুধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর তিহার জেলে অনুব্রতর সঙ্গে থাকা কোনও ওষুধ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। সেখানেই চিকিৎসকদের মাধ্যমে প্রেসকিপশন দেখে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রের খবর অনুব্রতকে রাখা হয়েছে জেলের ৭ নম্বর সেলে। কারণ এখানেই রাখা হয় টাকা পাচার-কাণ্ডে ধৃতদের। এই সেলেই রয়েছে গরুপাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ও অনুব্রত মণ্ডলের সহযোগী সেহগল হোসেন। তবে প্রথম দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে মশার উৎপাতে ঘুম হয়নি বলেও জেল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।

গরু পাচারকাণ্ডে দিল্লি যাত্রা এড়াতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি যাত্রা এড়াতে পারেনি। অনেক চেষ্টার পরে মঙ্গলবারই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পেরেছিল ইডি। প্রথমে নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করেছেন। গত মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনেউ কোর্টের নির্দেশে তিহার জেলে ঠাঁই হয় অনুব্রত মণ্ডলের। এবার অনুব্রত সামনে আশার আলো দিল্লি হাইকোর্ট। সেখানে যদি জামিন পান তাহলে আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরতে পারবেন তিনি। আর্থাৎ নিজের রাজ্যে ফিরতে পারেবন।