দিলীপ ঘোষ ৬১ বছর বয়সে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িত। যা ভারতীয়দের বিয়ের গড় বয়সের থেকে অনেকটাই বেশি। তবে দিলীপ ঘোষ একা নন, অধিক বয়সে বিয়ের নজীর ভারতের রাজনীতিতে রয়েছে। 

দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে জোর চর্চা গোটা রাজ্য জুড়ে। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্যরা না ভেস্তে দেন দিলীপ ঘোষের বিয়ে। যদিও সংঘের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল দিলীপ ঘোষ সংঘের প্রচারক নন, তাই বিয়েতে তাঁর কোনও বাধা নিয়ে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের পক্ষ বিপক্ষের রাজনীতিবিদরাও চর্চায় মেতেছিলেন দিলীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে নিয়ে। দিলীপ ঘোষ ৬১ বছর বয়সে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িত। যা ভারতীয়দের বিয়ের গড় বয়সের থেকে অনেকটাই বেশি। তবে দিলীপ ঘোষ একা নন, অধিক বয়সে বিয়ের নজীর ভারতের রাজনীতিতে রয়েছে।

এক নজরে দেখে নিন অধীক বয়সে কোন কোন রাজনীতিবিদ ছাতনাতলায় গিয়েছেনঃ

ইভি রামাস্বামী পেরিয়ার- দ্রাবিড় আন্দোলনের জনক ইভি রামস্বামী পেরিয়ার ৭০ বছর বয়সে ৩১ বছরের এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন।

বিআর আম্বেদকর- ভারতীয় সংবিধানের রুপকার বিআর আম্বেদকর ৫৭ বছর বয়সে ৩১ বছর বয়সী ডঃ সারদা কবীরকে বিয়ে করেন।

করুণানিধি - তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি নিজের থেকে ৪২ বছরের ছোট রাজথি আম্মালকে বিয়ে করেন।

দ্বিগ্বিজয় সিং- ৬৭ বছর বয়সে দিগ্বিজয় সিং বয়সে অনেক ছোট সাংবাদিক অমৃতা রাইকে বিয়েছিলেন।

লক্ষ্মণ শেঠ- প্রাক্তন সিপিএম নেতা বর্তমানে কংগ্রেসি লক্ষ্মণ শেঠ ৭৭ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে সারেন। ৪২ বছরের মানসী দে-কে বিয়ে করেন।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-৫০এর গণ্ডী পেরিয়ে বয়সে অনেক ছোট নয়না দাসকে বিয়ে করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

সোমান মিত্র- ৫৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন শিখা মিত্রকে।

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী- ৫০এর গণ্ডী পেরিয়ে রাজ্যের জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী বিয়ে করেছিলেন দীপা দাসমুন্সীকে।