সংক্ষিপ্ত

আবাস যোজনা নিয়ে সমীক্ষকরা নতুন করে একটি তৈরি করছে না। ২০২২ সালের তৈরি তালিকা আর একবার যাচাই করা হবে।

 

আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক গরমিল সামনে আসছে। তাতে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দফতর থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার আবাস যোজনা নিয়ে ভুলবোঝাবুঝির অবসান করতে চায়। আবাস যোজনা নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।

আবাস যোজনা নিয়ে সমীক্ষকরা নতুন করে একটি তৈরি করছে না। ২০২২ সালের তৈরি তালিকা আর একবার যাচাই করা হবে। এই তালিকায় থাকা নামগুলি যাচাই করবে পুলিশ। রাজ্য সরকারের তৈরি করা নির্দেশিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠান হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতর থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবাস প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। বাংলার বাড়ি গড়ে তোলার টাকা পাবেন সকলেই।

এই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হবে। আর সেটা তৈরি করা হবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের নির্দেশিকা মেনে। সমীক্ষা করা হবে কোন কোন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর যাঁদের নাম তালিকায় আছে তাঁদের ক্ষেত্রে আর একবার সমীক্ষা করা হবে। যাতে কোনওভাবেই যোগ্য ব্যক্তি বাংলার বাড়ি বা আবাস প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন। এটাই নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবটাই সমীক্ষকরা সরেজমিনে সশরীরে উপস্থিত থেকে যাচাই করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা সমীক্ষকদের সঙ্গে কাজ করবেন। তাঁরা তথ্য দেবেন, কী পদ্ধতিতে এই দুর্গতদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত তলিকা প্রকাশের আগে উপভোক্তাদের প্রত্যেকটি তথ্য নিখুঁতভবে যাচাই করবেন সমীক্ষকরা। নামের সঙ্গে ব্যঙ্ক অ্যকউন্ট নম্বর ও আইডি -সব যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখা হবে। যাচাইয়ের সময় আবেদনকারীর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হবে। তা আপলোড করা হবে। তালিকায় গ্রামসভা ও ব্লক স্তরের কমিটিকে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে সংরক্ষ করতে হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।