সংক্ষিপ্ত

মধুসূদন মিস্ত্রি বলেছেন, 'ভোট লুট করতে আসলে তিন হাত লম্বা ডান্ডা দিয়ে তৃণমূলের চোর ডাকাতদের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দেবেন।'

বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে তিন হাত লম্বা ডান্ডা দিয়ে পেটানোর নিদান দিলেন জেলা সভাপতি। বাগদা উপনির্বাচনের আগেই দলীয় কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই রীতিমত হিংসাত্মক মন্তব্য করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। মধুসূদন মিস্ত্রি। বিজেপির জেলা সভাপতির পাশাপাশি তিনি পঞ্চায়েত সদস্য। যদিও একটা সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। এবার সেই দলের নেতা কর্মী সমর্থকদেরও পেটানোর নিদান দিলেন। যদিও ভোট লুঠ রুখতেই তিনি এই কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছেন।

মধুসূদন মিস্ত্রি বলেছেন, 'ভোট লুট করতে আসলে তিন হাত লম্বা ডান্ডা দিয়ে তৃণমূলের চোর ডাকাতদের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দেবেন।' এখানেই থামেননি বিজেপি নেতা। তিনি বাগদা থানায় তালা মেরে দেওয়ার নিদানও দেন দলীয় কর্মী সদস্যদের উদ্দেশ্যে। এই কথা শুনেই হাত তালি দেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

 

 

বাগদার মন্ডপঘাটা তে কর্মী সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রি। ওই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। ওই কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, 'ভোট লুট করতে আসলে তিন হাত লম্বা ডান্ডা দিয়ে তৃণমূলের চোর ডাকাতদের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙ্গে দেবেন এবং পুলিশ যদি দালালি করতে আসে তাহলে ওই বাগদা থানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে '।

আগামী ১০ তারিখ বাগদার উপনির্বাচন। তারই আগে বিজেপির জেলা সভাপতি এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কর্মী সভা শেষে বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসের সমর্থনে বাগদার মন্ডপঘাটা থেকে শুরু করে হেলেঞ্চা বাজার পর্যন্ত মিছিল করা হয়। মিছিলে পা মেলান কয়েকশো কর্মী সমর্থক। যদিও বাগদায় ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। শুক্রবারই বিজেপির পতাকা নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন সত্যজিৎ মজুমদার।