সংক্ষিপ্ত
holi 2025: রাস্তার কুকুরদের গায়ে রং লাগলে তারা কিন্তু মানুষের মতো নিজেদের গা থেকে রং তুলতে পারে না। জিভ দিয়ে রং চাটতে গিয়ে তাদের শরীরে রংয়ে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ঢুকে যাওয়ায় কুরুররা অসুস্থ হয়ে পড়ে।” জল অপচয় রোধেও সচেতনতার বার্তা দেয় তারা।
Dol Purnima 2025: দোলের রঙে যখন চারদিক রাঙা হওয়ার অপেক্ষায়, তখন একদল কচিকাঁচা ছড়িয়ে পড়ল পথে। তাদের একটাই লক্ষ্য, পথকুকুরদের রক্ষা করা আর জল অপচয় রোধ করা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৭ জন ছাত্রছাত্রী বুধবার বসন্ত উৎসব পালনের পাশাপাশি এই অভিনব উদ্যোগ নেয়। দোল উৎসবের আগে স্কুল ছুটি থাকায়, ছাত্রছাত্রীরা স্কুলেই বসন্ত উৎসব পালন করে। উৎসবের অঙ্গ হিসেবে তারা বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক পোস্টার হাতে গ্রামের রাস্তায় প্রদক্ষিণ করে। তাদের পোস্টারে লেখা ছিল, "পথকুকুরদের গায়ে রং দেবেন না, জল অপচয় রোধ করুন।"
স্কুলের এক ছাত্র বলে, “আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়ে জানেছি, রাস্তার কুকুরদের গায়ে রং লাগলে তারা কিন্তু মানুষের মতো নিজেদের গা থেকে রং তুলতে পারে না। জিভ দিয়ে রং চাটতে গিয়ে তাদের শরীরে রংয়ে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ঢুকে যাওয়ায় কুরুররা অসুস্থ হয়ে পড়ে।”শুধু তাই নয়, জল অপচয় রোধেও সচেতনতার বার্তা দেয় তারা। ছাত্রছাত্রীদের কথায়, "আমাদের অসচেতনতার জন্য প্রতিদিন দেশে নষ্ট হচ্ছে প্রায় এক লক্ষ লিটার পানীয় জল। রং শরীর থেকে তুলতে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাহলে দোলের দিন অপচয় রোধ করা সম্ভব কয়েক লক্ষ লিটার জল।"
পড়ুয়াদের হাতে বাল্যবিবাহ রোধ, রক্তদান, বৃক্ষরোপণ-সহ বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক পোস্টারেও বার্তা দেওয়া হল সমাজকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানালেন, “ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দোল ও বসন্ত উৎসবের গুরুত্ব এবং তার ঐতিহাসিক পটভূমি বোঝানোর জন্য এই ধরনের উদ্যোগ। গ্রামের পথে ঘুরে ঘুরে তারা সাধারণ মানুষকে রং খেলার সময় কী করা উচিত আর কী নয়, তা বোঝাাল পড়ুয়ারা । পাশাপাশি, গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে দোলের আগে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয় পড়ুয়ারা।” এই উদ্যোগের মাধ্যমে কচিকাঁচারা শুধু উৎসবের আনন্দই উপভোগ করেনি, বরং সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধও ফুটিয়ে তুলেছে। পড়ুয়াদের এই উদ্যোগ দেখে তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সকল স্তরের মানুষ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।