সংক্ষিপ্ত
পুলিশের মদতেই তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
ফের ভাঙড়ে বামপন্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার এলাকায় আয়োজিত সিপিএমের মিছিলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বাম নেতাকর্মীরা। ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় আজ সকালেই প্রবল অশান্তির সৃষ্টি হয়। রবিবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার নেতৃত্বে হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
২৭ নভেম্বর সকালে ভাঙড়ের পাইকান এলাকা থেকে গাবতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল সিপিএম সমর্থকদের। বাসন্তী এক্সপ্রেওয়ে ধরে মিছিল কিছুটা এগোতেই তৃণমূল নেতা জুলফিকর মোল্লা ও রশিদ মোল্লা সেই মিছিলের পথে বাধার সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বচসা চরমে উঠলে দলবল নিয়ে সিপিএম কর্মীদের ওপর হামলা করে ঘাসফুল বাহিনী। ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মীরা দায়িত্বে ছিলেন এবং তাঁরা সামনে থাকাকালীনই সিপিএম নেতা কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারামারিতে আহত হন বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতা এবং কর্মী।
শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ জানাতে লেদার কমপ্লেক্স থানায় হাজির হন সিপিএম নেতারা। পুলিশকর্মীরাই তাঁদের থানায় ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে থানার গেটের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সিপিএমের মিছিলে হামলার পর আরেকদিকে পালটা মিছিল বের করতে দেখা যায় তৃণমূলের সমর্থকদেরও।
যদিও এরপর হামলার কথা ‘স্বীকার’ করে নিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা। ঘটনার পরই বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বামেরা। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় লেদার কমপ্লেক্স থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সড়কপথে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মূল যোগাযোগ মাধ্যম এই বাসন্তী হাইওয়ে। রবিবার সকালে সেই ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধের জেরে ব্য়াপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের মদতেই তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-
ঝরনার ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হল ৪ কিশোরীর
ঘুম থেকে উঠেই রাস্তায় বেরিয়ে মানুষজনকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করল জলপাইগুড়ির তহিজুল, ছেলের কাণ্ড দেখে হতবাক পরিবার