সংক্ষিপ্ত
অভিযুক্ত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন আক্রান্তরাই। হঠাৎ করে আজ কেন তাঁর মতিভ্রম ঘটল, তা স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছেও।
শনিবার দিন শুরু হতেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির বানারহাটে। প্রকাশ্য রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকলেন এক যুবক। আচমকা ছুরির চালানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকা জুড়ে। ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮ জন পথচলতি মানুষ।
শনিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সজনেপাড়া এলাকায়। হামলায় জখম হওয়া ব্যক্তিদের তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে গিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, ছুরি চালানো ওই যুবকের নাম তহিজুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কোনওদিন এরকম হামলার অভিযোগ আসেনি। হঠাৎ করে আজ সকালে কেন তাঁর মতিভ্রম ঘটল, তা একেবারেই বুঝতে পারছেন না বাড়ির সদস্যরা। কী কারণে সাতসকালে রাস্তায় বেরিয়ে আচমকা ধারালো ছুরি নিয়ে তিনি হামলা চালাতে থাকলেন, সে বিষয়ে বিস্মিত হয়ে রয়েছে ওই যুবকের গোটা পরিবার।
জখম ব্যক্তিদের দাবি, হামলা চালানো যুবক মানসিক দিক থেকে ভারসাম্যহীন। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে তহিজুল তাঁর সামনে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে ছুরি নিয়ে হামলা করতে শুরু করেন। প্রথমে তিনি মজিনা খাতুন নামে এলাকারই এক মহিলার উপর হামলা চালান। এই মজিনা আবার তহিজুলেরই আত্মীয়া। আঘাত পেয়ে তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন, সেই চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে আসেন, তখন উদ্ধার করতে আসা মানুষদের ওপরেও হামলা চালান অভিযুক্ত তহিজুল। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আরও কিছু মানুষজন ছুটে আসেন এবং তাঁরা ক্ষিপ্র বেগে যুবকের হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে নেন। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তেজিত জনতা তহিজুলকে ধরে গণপিটুনিও দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় থানার পুলিশ।
অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নুর হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, মজিনা খাতুন এবং রফিনা খাতুন নামের ৪ জন আহত। এই চার জনকেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মজিনা এবং রফিনা সম্পর্কে শাশুড়ি ও বৌমা। রফিনা খাতুনের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান, তহিজুল তাঁর শাশুড়িকে ধরে ছুরির কোপ মারছে। ঘটনাটি কিছু বুঝে ওঠার মধ্যেই গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যান মজিনা। তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে গেলে তহিজুল রফিনা খাতুনের পিঠে এবং হাতেও ছুরি চালিয়ে দেয়। তহিজুল পারিবারিক সম্পর্কে রফিনার মামা-শ্বশুরের ছেলে। রফিনা বলেন, “ওর মাথায় একটু গণ্ডগোল রয়েছে। সকালে হঠাৎ করেই আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা বুঝতেই পারিনি যে আমাদের খুনের চেষ্টা করবে।’’
আরও পড়ুন-
মুম্বই হামলার বদলা না নিলে মানুষ ভারতকে গুরুত্বহীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখবে: লেফটেন্যান্ট কর্নেল সন্দীপ সেন
টিরেটি বাজারের কাছে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, তড়িঘড়ি পৌঁছলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু
রাজ্যপাল পদে আসার পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাতে সিভি আনন্দ বোস, নয়াদিল্লিতে ২ দিনের সফর