voter registration: কমিশনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ছাড়াও এই আবেদনপত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বয়স্ক ভোটাররাও।

একদিকে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR), অন্যদিকে রাজ্যে SIR আতঙ্ক। সব মিলিয়ে বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ফর্ম ৬ বা ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন পত্র জমা পড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। সাধারণভাবে এক সপ্তাহে যে সংখ্যাটি ২৫ হাজারের মধ্যে থাকার কথা। অর্থাৎ গত ৭ দিনে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলা গুলোতে ভোটার তালিকা নাম তোলার জন্য তিনগুণ বেশি আবেদন পেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ,উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোটার কার্ডে নতুন করে নাম নথিভুক্ত করনের জন্য এই তৎপরতায় মনে চড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশনও। আচমকা, তিনগুণ হারে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আগ্রহ বাড়লো কেন? তাহলে এতদিন এরা ভোটার কার্ড ছাড়াই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কমিশনের অন্দরেও।

কমিশনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ছাড়াও এই আবেদনপত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বয়স্ক ভোটাররাও। আচমকা এ ধরনের আবেদন কেন? আধিকারিকের বক্তব্য, রাজ্যে SIR হবে এটা ধরে নিয়েই এনু মারেসন ফর্ম যাতে তাদের কাছেও পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকায় নাম তোলার বা অন্তর্ভুক্তির এই আগ্রহ বাড়ছে। কারণ, এ রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম থাকবে তাদেরকেই ম্যানশন ফরম বিলি করবেন বিএলওরা। সে কারণেই যাদের এখনো পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম নথিভূক্ত হয়নি তারা যত শীঘ্র সম্ভব ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চাইছেন। অন্যথায় এ রাজ্যের ভোটাধিকার এ তারা শুধু বঞ্চিতই হবেন না একইসঙ্গে তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যেহেতু বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা, তাই সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্তরে এসআইআর নিয়ে বা বাংলাদেশী হটাও কর্মসূচির ব্যাপকতা বাড়ছে তাতে pushback হওয়া থেকে নিস্তার পেতে চাইছেন সীমান্তবর্তী এই মানুষজন। আগামী নভেম্বর মাসেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে বিহারে SIR প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। এরপরেই আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ সহজে রাজ্যগুলো যুক্ত রয়েছে সেই রাজ্যগুলোতে SIR প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী আগস্ট মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এ রাজ্যে এস আই আর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজো উপলক্ষে একটি বড় সময় ছুটি থাকে সেকথা মাথায় রেখেই বাংলায় SIR প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় কমিশন। জানা গেছে, বিহারের ক্ষেত্রে ১১ টি নথি চাওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নথির সংখ্যা বাড়লেও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর। অবশ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল SIR এর ক্ষেত্রে রাজ্য বিশেষে নথির সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এস আই আর এর নথির সংখ্যার তারতম হতে পারে বলে মনে করছে সিইও দপ্তর। এই সব জেলাগুলিতে গত সাত দিনে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন দ্বিগুণ হার বেড়ে গিয়েছে। মোট ৭৫০০০ ভোটার কার্ডের আবেদন এই সব জেলায় ।সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ হাজার আবেদন পড়ে কিন্তু গত সাত দিনে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নতুন ভাবে ভোটার কার্ডের এই আবেদনে নড়ে চড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।সব তথ্য খতিয়ে দেখে নতুন ভোটার কার্ড তৈরির পাশাপাশি কেনো এত আবেদন তাও খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।