সংক্ষিপ্ত
পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে রাজ্যকে ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সাংসদ জন বার্লাকে।
বিজেপি উত্তরবঙ্গের মানুষের কল্যাণের জন্য চিন্তিত নয়। তারা রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রবিবার এমনটাই অভিযোগ করেছেন । আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে পার্থ ভৌমিক দাবি করেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গের নদী ভাঙন রোধে কেন্দ্র থেকে টাকা আনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই অঞ্চলের মানুষের কল্যাণের জন্য বিজেপির কোনও চিন্তাভাবনা নেই বলেও দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী।
পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে রাজ্যকে ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন এলকার বিজেপি সাংসদ এখনও বেড়িবাঁধ ভাঙনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে তুলে ধরেননি। এখনও নদী কমিশনকে চিঠি লিখে বিষয়চি জানানি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জন বার্লা এর আগে বলেছিলেন তিনি রাজ্যের শাসকদল টিএমসি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। গত কয়েক বছর ধরে এই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গতবছর জন বার্লা দাবি করেছিলেন পাহাড়ের মানুষ বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তবঙ্গকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে দেখতে চায়।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস দার্জিলিং শহরে একটি জনসভা করেছিল। সেখানেই কেন্দ্রীয় দুই প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা আর নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযার দাবি করে। তৃণমূল নেতা শশী পাঁজা বলেন রাজ্য সরকার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। তারপরেও কেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের এজেন্সি বিরোধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওযা হয় না। যদিও বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পুরণ করতেই এইজাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে একটি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য বাইক মিছিল করার অভিযোগে মামলা চলছে জন বার্লার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধেও ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। পার্থ ভৌমিকের আগে এই একই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদয়ন গুহ। যদিও বাংলাভাগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়েছিলেন এজাতীয় কোনও পরিকল্পনা নেই বিজেপির। যদিও বিষয়টি রাজ্যের জ্বলন্ত একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিজেপি আর তৃণমূল বাংলা ভাগ নিয়ে মন্তব্য আর পাল্টা মন্তব্য করেই চলেছে।