সংক্ষিপ্ত

আর জি কর ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে তিনটি পরামর্শ দিয়েছিল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার চাইবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে কাজ করুক।

 

দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বেলুড়মঠে দিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতেও। বিজেপি নেতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হত্যাকাণ্ড ও জয়নগর ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতেও পিছ-পা হননি। তিনি হরিয়ানায় বিজেপির জয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই রাজ্য জয়ে বিজেপি আপ্লুত। কংগ্রেসকে মানুষ এখনও বিশ্বাস করে না বলেও দাবি করেন তিনি। বাংলা ধ্রপদী ভাষার সম্মান পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব বলেও দাবি করেন নাড্ডা।

আরজি কর ইস্যুতে জেপি নাড্ডা

আর জি কর ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে তিনটি পরামর্শ দিয়েছিল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার চাইবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে কাজ করুক। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইবো রাজ্য রিপোর্ট দিক কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে রাজ্য কাজ করছে কিনা। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে দেবে বলেও জানিয়েছে। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের নিয়েও কথা বলেন,জেপি নাড্ড। তিনি বলেন, 'ডাক্তারেরা নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে অনশন করছেন। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলে আমরা তাদের পাশে আছি। ' তিনি আরও বলেন, রাজ্য স্বাস্থ্যের বিষয় হলেও কেন্দ্রীয় সরকার সবক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারবে না। জেপি নাড্ডার দাবি রাজ্যে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের থ্রেট কালচার চলছে।

জয়নগর ইস্যু

জয়নগর ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, এই রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন। রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। মহিলা পাচার, ধর্ষণের মত ঘটনা এই রাজ্যে সবথেকে বেশি চলছে। এদিন জেপি নাড্ডা বলেন, বাংলার কৃষকরাও নিরাপদ নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানাতে চাইছেন না বাংলায় কতজন কৃষক রয়েছে।

হরিয়ানা ইস্যু

হরিয়ানায় বিজেপি জেতায় দল চাঙ্গা হয়েছে। কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতি করছিল। তাতে মানুষ সাড়া দেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, হরিয়ানায় কংগ্রেস কৃষকদের উস্কানি দিয়েছিল। কাশ্মীরে বিজেপির ভাল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।