সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহার। বিক্ষোভ থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও প্রতিবাদ কর্মসূতি চলছে বিজেপির। সেই প্রতিবাদ কর্মসূতি সামিল হয়েই রাজ্য পুলিশের হাতে আটক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক। দলীয় নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালান হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসেও।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির জেলা শাসক ঘোরাও অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক। সেখান থেকেই তাঁকে আটক করে জেলা পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতা কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহারের সাগরদিঘি এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে জেলা শাসকের অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে পুলিশ সুপারের অফিসে ইট -পাথর ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। লাঠি চার্জ করে বলেও অভিযোগ। কিক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপি নেতা কর্মী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধ বেঁধে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাগরদিঘি এলাকা।

দুপুর ২টো নাগাদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ, কোচবিহারের জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায়, বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালতি রাভা প্রমুখের নেতৃত্বে মিছিল এগোচ্ছিল জেলাশাসকের দফতরের দিকে। ক্রমশ জেলাশাসকের দফতরের দিকে মিছিল এগোলে বাধা দেয় পুলিশ। তবে সেই বাধা কেটে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন নিশীথরা। সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। তিনি ডিএসপি চন্দন দাস, অতিরিক্ত ডিএসপি কৃষ্ণগোপাল মিনা ও আইসি তপন পালের সঙ্গে বচসায় জ়ড়িয়ে পড়েন। ঠেলাঠেলিও শুরু হয়। সেই সময়ই আটক করা হয় নিশীথ প্রামাণিককে। তাতেই গোটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।