সংক্ষিপ্ত

শুভেন্দু অধিকারী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বলেও দাবি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ নম্বর ১১৪ নম্বর বুথের ঘটনা।

 

ভোটের পরেও বিরাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর তোপের। সপ্তম দফায় ডায়মন্ড হারবারের ভোট গ্রহণ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা তৃণমূলের নম্বর টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। পাশাপাশি ভোট গণনা নিয়ে সতর্ক করেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। একটি বুথের ভোট গ্রহণের একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি সরকারি কর্মী ও আধিকারিরদের বিরুদ্ধে নীতিহিন কাজের অভিযোগ তুলেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বলেও দাবি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ নম্বর ১১৪ নম্বর বুথের ঘটনা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বুথের সিসিটিভি ক্যামেরা অন্য দিকে ঘোরান রয়েছে। একজন ব্যক্তি এসে ক্যামেরা ঘোরান নিয়ে হৈচৈ শুরু করে দিয়েছেন। সেই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছেন, 'কয়লা ভাইপো ভয় পায়। তাই নির্বাচনের জিন তিনি সব ধরনের অনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করেছেন।' তারপরই শুভেন্দু বলেছেন, কুখ্যাত ডায়মন্ড হারবার মডেল প্রকাশ করে মমতা পুলিশ ও সুমিত গুপ্তের (আইএএস) সাহায্যে প্রায় ৪৫০টি ভোট লুঠ করেছে।

 

 

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে প্রক্সি ভোট চলছিল। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারকে 'চটি চাটা' বলেও তোপ দাগেন। তিনি আরও বলেন, অভিষেক নির্বাচনী এলাকার জন্য যদি এত কিছু করে থাকেন- সবরকম কৌশল অবলম্বন করেন- তাহলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাবে।

যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, তিনি ভোট লুঠ হয়এছে তা তিনি সেক্টর অফিসারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। তিনি আরও বলেন, তাঁরা নিজেদের মত কাজ করেছিলেন। এই এলাকায় প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফেরাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

অন্যদিকে এদিন নির্বাচন কমিশনকেও ভোট গণনা নিয়ে সতর্ক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে তিনি তথ্য পেয়েছেন, রাজ্যের ডিআইজি নিরাপত্তা আইপিএস আবভারু রবীন্দ্রনাথ কলকাতার অফিসে বৈঠক করে দুই জন করে কনস্টেবল ও একজন করে অফিসারকে সাধারণ পোশাকে প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্য পুলিশ গণনা কেন্দ্রের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার প্রথম স্তরের বাইরে যেতে পারে না।

নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিকে ট্যাগ করে শুভেন্দু বলেছেন, গণনা কেন্দ্রগুলিতে অ-অনুমোদিত ব্যক্তিদের প্রবেশ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অহ্বান জানান। তিনি গণনা প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গণনা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ দিয়েছে।