সংক্ষিপ্ত

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সনাতনীরা যদি নিজেদেরকে না রক্ষা করতে না পারে তাহলে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশীরা পশ্চিমবঙ্গের উপকূল লাগোয়া যে সকল জায়গাগুলি রয়েছে সেই জায়গাগুলিতে অনুপ্রবেশ করে আপনাদেরকে তাড়িয়ে দেবে।'

 

বিশ্ব হিন্দু ধর্ম সম্মেলনে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির গোপাল নগরের বিশ্ব হিন্দু ধর্ম সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। উক্ত এই ধর্ম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বামীজি প্রদীপ আনন্দজি মহারাজ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবা শ্রম সংঘের একাধিক সন্ন্যাসীরা। এই দিন বিকেলে বিশ্ব হিন্দু ধর্ম সম্মেলনে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন, 'এই রাজ্যে নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিজেদেরকে নিতে হবে। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার কিন্তু নিজেদের ধর্ম রক্ষা করার দায়িত্ব নিজেদেরকে নিতে হবে।' শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে বলেন কিভাবে বাংলাদেশে সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমণ করছে। এমনকি বাংলাদেশের সরস্বতী প্রতিমাকেও ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর রাজ্য কিছু কিছু জায়গায় সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এ রাজ্যে সরস্বতী পুজো করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।

এদিন বিজেপি নেতা ১৯৪৭ ও ১৯৭১ এর দেশভাগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কীভাবে সনাতনীরা ধীরে ধীরে বাংলাদেশে কমে যাচ্ছে? এমনকি তিনি বলেন 'সনাতনীরা যদি নিজেদেরকে না রক্ষা করতে না পারে তাহলে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশীরা পশ্চিমবঙ্গের উপকূল লাগোয়া যে সকল জায়গাগুলি রয়েছে সেই জায়গাগুলিতে অনুপ্রবেশ করে আপনাদেরকে তাড়িয়ে দেবে।' এছাড়াও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন ১৪০ বছর পর হিন্দুরা জেগে উঠেছে। সনাতনীরা জাগ্রত হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি দু'নম্বর ব্লকে ১৪০ বছর পর স্কুল ইতিহাসে এই প্রথমবার সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয় এবং পুষ্পাঞ্জলি ও দেয়া হয়।

নদিয়ার হরিণঘাটার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা যাবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল।এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে জোট বাঁধতেই উবে গেলো সব হুমকি ধমকি চোখ রাঙানি। কচিকাঁচা পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা উপস্থিত হন। নির্বিঘ্নেই পুজো হয়েছে আর পাঁচটা স্কুলে যেমন পুজো হয়ে থাকে তেমন ভাবেই।হরিণঘাটার নগরউখড়া এলাকার এই ঘটনা প্রমাণ করে যে একতাই শক্তি। এক থাকলে সুরক্ষিত থাকব আর বিভাজিত হলে রক্ষা নেই।এদিকে পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো করা নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বিজেপি এমপি সৌমিত্র খাঁ। তিনি জানিয়েছেন, লজ্জার ব্যাপার। পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো হচ্ছে লজ্জার ব্যাপার।পুজো করতে দেব না। হিন্দুরা যদি একত্রে হয়ে ভোট ময়দানে লাভে তাহলে এই রাজ্যে পালাবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা থাকবে।