সংক্ষিপ্ত

গুজরাটের ব্রিজ ভাঙা নিয়ে যখন কেন্দ্র সরকারকে বাক্যবাণে বিঁধছে রাজ্যের শাসক শিবির, তখন উলটে শাসক দলেরই পুরনো ঘা খুঁচিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শাসক দলের উল্লেখযোগ্য নেতা।

সারা ভারত জুড়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে গুজরাটের মৌরবি জেলার সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা। মাচু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে ভয়ঙ্কর প্রাণহানির খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। প্রায় ৪০০ জন মানুষ ব্রিজ ভেঙে একসাথে নদীতে পড়ে গেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনের। তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ জখম এবং গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গুজরাট মডেল’ নিয়ে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধী নেতৃত্বরা। ঘটনার তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে এবার পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে পালটা আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

পশ্চিমবঙ্গে সেতু ভেঙে গেলে কেন তদন্ত হয় না’, প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গুজরাটের ব্রিজ ভাঙা নিয়ে যখন কেন্দ্র সরকারকে বাক্যবাণে বিঁধছে রাজ্যের শাসক শিবির, তখন উলটে শাসক দলেরই পুরনো ঘা খুঁচিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শাসক দলের উল্লেখযোগ্য নেতা।

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বিখ্যাত সতীপিঠ দেবী বর্গভীমার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গুজরাটে সেতু দুর্ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হল, এবিষয়ে তদন্ত হবে। আর, তদন্ত হলে যারা অপরাধী, তারা ধরা পড়বে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সেতু ভেঙে গেলে, তার তদন্ত হয় না।’ উত্তর কলকাতায় পোস্তা ব্রিজ ভেঙে পড়ার কথা উল্লেখ করে শাসক দলের উদাসীনতার প্রতি আঙুল তুলে সুকান্তর বক্তব্য, ‘পোস্তা ব্রিজ ভাঙার ঘটনা প্রায় ৬ বছর হতে চলল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।’ এরপর বিজেপি নেতা এও দাবি করেন যে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় কমপক্ষে ৫০ টি ব্রিজ একেবারে ভেঙে পড়ার মুখে রয়েছে।

২ দিনের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ৩০ অক্টোবর, রবিবার জেলার একাধিক জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। ৩১ অক্টোবর সোমবার সকালে পীঠ দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন। পুজোর পরে মন্দির থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সুকান্ত জানিয়েছেন, ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম মা যেমন অসুর নাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গে অসুরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে তিনি যেন বাংলায় অসুর নাশ করেন।’

 

আরও পড়ুন-
‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ আসলে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবকে প্রাধান্য দেয়, ধর্ষিতাদের স্বপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়
একের পর এক কর্মসূচি বাতিল, গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ের প্রাণহানির কারণে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-তে শোকস্তব্ধ নরেন্দ্র মোদী