সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় লোক আনতে ৭৮ লক্ষ টাকা খরত করা হয়। অন্যান্য খরচেরও হিসেব দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন কেন এত খরচ।

 

আবারও বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। পরপর তিনটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন তিনি। জনতার টাকা মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করছেন- এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতা শুভেন্দুর। রবিবার টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় লোক আনতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছে, এজাতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে।

রবিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী পরপর তিনটি টুইট করেছে। প্রত্যেকটিতেই আক্রমণ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বাঁকুড়ার জনসভার কথা উল্লেখ করেন। তিবি বলেন দরিদ্র সুবিধেভোগীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ৭৮ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। ৭০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। শুভেন্দু প্রথম টুইটে আরও প্রশ্ন করেন, সরকারি কোষাগারের টাকায় কেন রাজ্যের ছাত্রদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে? শুভেন্দু জনসভার জন্য বাঁকুড়ার কোন এলাকা থেকে কটি বাস ও কতজন এসেছিল তারও তালিকা প্রকাশ করেছেন। তাঁর টুইট মোতাবেক সবথেকে বেশি বাস এসেছিল বরজোড়া থেকে। খরচ হয়েছিল ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

 

 

দ্বিতীয় টুইটে শুভেন্দু অন্যান্য ক্ষেত্রের খরচেরও হিসেব তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেছেন সেক্ষেত্রে প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, অন্যান্য খরচ, যেমন- ৮ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন। মঞ্চ নির্মাণ ও সজ্জা, ছাউনি -৪০ মিনিটের মুখ্যমন্ত্রীর বিশুদ্ধ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

 

 

পরের টুইটে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, এধরনের মোটা অঙ্কের খরচের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। শুভেন্দু বলেন, এধরনের খরচের উৎস কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান কোথা থেকে এসেছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা? জানতে চেয়েছেন, মিডডে মিলের টাকা না পিএম পোশন থেকে নেওয়া হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ? একই সঙ্গে জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে অনুদান দিয়েছিল সেই টাকাও কি এজাতীয় অনুষ্ঠানে খরচ করা হচ্ছে। পাশাপাশ তাঁর প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গ যখন আর্থিক সংকটে রয়েছে তখন কেন এত বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে।

 

 

তবে শুভেন্দুর এই আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা থেকে প্রচুর মানুষ উপকৃত হন। পাশাপাশি শান্তনু সেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য বিপুল অর্থ ব্যায় হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

নিশীথের বাড়ি ঘেরাও করে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ তণমূলের, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা

কোভিড-ক্যান্সারের সম্পর্ক জুড়লেন বাবা রামদেব, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা

দূষিত বিশ্বের দ্বিতীয় শহর মুম্বই, জানুন কেন দূষণের কালো ছায়ায় ঢাকা পড়ছে স্বপ্নের শহর