সংক্ষিপ্ত

বিএসএফ-এর গুলি চালানোর প্রতিবাদে নিশীথের বাড়ি ঘেরাও তৃণমূলের। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব উদয়ন গুহরা।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। রীতিমত উত্তপ্ত কোচবিহারের ভেটাগুড়ি এলাকা। স্থানীয় এক রাজবংশী যুবককে গরু পাচারকারী সন্দেহে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছিল। তারই প্রতিবাদে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল দলীয় নেতা কর্মীরা। নিশীথ প্রামানিকের বাড়ি ঘেরাও করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকাল থেকেই ঘাসফুল শিবিরে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু তৎপরপ্রশাসন মন্ত্রীর বাড়ির ১৫০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে।

দিনহাটা ব্লকের ২৪ বছর বয়সী প্রেম কুমার বর্মণের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তা নেমে আন্দোলন করে তৃণমূল। এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতারেরও দাবি জানায়। আন্দোলনকারীরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রের নির্দেশেই এলাকায় সক্রিয় বিএসএফ। স্থানীয়দের ভয় দেখানো ও অত্যাচার করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে এদিন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ও দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী, বিনয় বর্মন। উদয়ন গুহ বলেন, 'যারা এধরনের হত্যাকে সমর্থন করে তারা মানুষ নয়।' পাশাপাশি যারা নিরীহ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও দাবি তুলেছেন তিনি।

তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে যাতে আন্দোলনকারীরা হানা দিতে না পারে তার জন্য তৎপর ছিল স্থানীয় প্রশাসন। নিশীথ প্রামানিকের বাড়ির চার পাশে বাংশের ব্যারিকেড করে দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যপুলিশের কর্মীরাও ভেটাগুড়ি এলাকায় মোতায়েন ছিল।

২৪ বছরের প্রেম কুমার বর্মনকে ২০২২ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দিনহাটা ব্লকে বিএসএফ-এর এক কনস্টেবল গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের দাবি বিনয় একজন অভিবাসী শ্রমিক। ঘটনার দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন। পাল্টা বিএসএফ দাবি করেছে তারা যাকে গুলি করে হত্যা করেছে সে গরুপাচারকারী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহেই কোচবিহারে একটি জনসভা করেন। সেখানে প্রেমকুমার বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই তিনি এই মৃত্যুর প্রতিবাজে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করার ডাক দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ

'শিক্ষ বাংলায় অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে', ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যের পাল্টা উত্তরপ্রদেশ খোঁচা কুণালের

কোভিড-ক্যান্সারের সম্পর্ক জুড়লেন বাবা রামদেব, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা

দূষিত বিশ্বের দ্বিতীয় শহর মুম্বই, জানুন কেন দূষণের কালো ছায়ায় ঢাকা পড়ছে স্বপ্নের শহর