সংক্ষিপ্ত

পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান নবনীতা কুইলি বর্মণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। চুল রং করার রাসায়নিক খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বিজেপির এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরে।মৃতার নাম নবনীতা কুইলি বর্মণ। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের ইলাশপুরে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। পরিবার সূত্রে দাবি, চুল রং করার রাসায়নিক খেয়ে ফেলার পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন নবনীতা।বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন নবনীতা। পরবর্তীতে সর্বসম্মতিতে ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয় তাকে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নবনীতার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুই-ই ভগবানপুর থানার ইলাশপুর গ্রামে। ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ আনোয়ার আলি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নবনীতা গত দু’বছরে খুব ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু, সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আজ তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। পঞ্চায়েত প্রধানের এমন মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভালো কাজের মানুষ হিসেবে সুখ্যাতি ছিল এলাকায় । দলমত নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন । দলের কর্মী থেকে নেতৃত্ব সকলের সঙ্গেই তার সুসম্পর্ক ছিল । অকালে এভাবে নবনীতা চলে যাওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া জমাট বেঁধেছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার তাম্রলিপ্ত জেলা সদর হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।প্রশ্ন উঠছে,একজন পরিনত মানুষ হয়ে কীভাবে ভুলবশতঃ চুল রং করার রাসায়নিক খেয়ে নিতে পারে? মৃত্যু আসল কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।