সংক্ষিপ্ত

দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় এসে পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

শনিবার উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নিল এলাকা। দু'পক্ষের হাতাহাতিতেই থেকে থাকল না সংঘর্ষ, বোমা, গুলি, পাথর পড়ল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে। ঘটনায়ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। সপ্তাহের শেষে পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ীই দিনহাটার একাধিক এলাকা পরিদর্শনে যান মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এলাকায় জনসংযোগ বাড়ানোর জন্যই এদিনের কর্মসূচি বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু গোল বাঁধে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় এসে।

দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় এসে পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। বচসার কেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়। তাঁর গাড়ির কাঁচও ভেঙে যায় বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও মতে তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাংলা ক্রমশ 'দুষ্কৃতীদের রাজত্বএ' পরিণত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনাকে উদাহরণ স্বরূপ ধরে বাংলার মানুষের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন তিনি।

এদিন দিনহাটার ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন,'বাংলা এখন দুষ্কৃতীদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। যে ভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা করছে তা কখনও স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশে হতে পারে না।।' এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন,'বাংলার মানুষ দেখুন কী চলছে।' উল্লেখ্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোবিহারে সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজবংশী যুবকের বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অভিষেক। রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও নিয়েছিল তাঁরা।

আরও পড়ুন - 

প্রশ্নপত্র বিতর্কের মূল হোতা কারা? ১২ ঘন্টার মধ্যেই তথ্য হাতে পেল পর্ষদ

ছেলের কথা শুনে কেঁদেই ফেললেন গোপাল দলপতির মা, বউমা হৈমন্তীর সঙ্গে সত্যিই কি ডিভোর্স হয়েছিল তাঁর পুত্রের?

হৈমন্তীও নেই, গোপালও অধরা! অথচ টাকা ঢুকছে আরমানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, কতদূর এগিয়েছে আর্থিক কেলেঙ্কারির শেকড়?