সংক্ষিপ্ত

খেজুরির সভা থেকে ণমতা সিপিআই(এম)কে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় সিপিআই(এম) এমন অত্যাচার করত যে কোনও মানুষ ঢুকতে পারত না।

 

রাজ্যের হিংসা নিয়ে খেজুরির সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনও। গুন্ডারা এই রাজ্যে বুল্ডোজার নিয়ে আসতে চাইছে। তারপরই তিনি মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করেন, বলুন তো এটাই বাংলার সংস্কৃতি? তিনি খেজুরির জনগণের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, বিজেপির দাঙ্গার রাজনীতি এই রাজ্যের মানুষ সহ্য করবে না। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে তাঁক সরকার রাম-বাম জোটের মুখোশ খুলে দেবে।

এদিন খেজুরির সভা থেকে ণমতা সিপিআই(এম)কে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় সিপিআই(এম) এমন অত্যাচার করত যে কোনও মানুষ ঢুকতে পারত না। তিনি আরও বলেন নন্দীগ্রামের হিংসার বিষয়েও তিনি জানেন। তিনি বলেন সিপিএম-এর সেই হার্মাদরা বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। রাজ্যের হিংসার ঘটনার জন্য তারাই দায়ী বলেও অভিযোগ করেন মমতা। এদিন মমতা আরও অভিযোগ করে বলেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের নাম করে ভুয়ো মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের বেআইনিভাবে জেলে পোরা হচ্ছে। তবে তৃণমূল কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মমতা।

এদিন মমতা রাম নবমীর মিছিল নিয়ে রাজ্য চলা হিংসার ঘটনার জন্য মূলত বিরোধীদের দায়ী করেন। বলেন,রাম নবমীর এত দিন পরে কেন মিছিল হবে। দিনের উৎসব দিনে করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও বলেন, বন্দুক আব বোমা নিয়ে মিছিল হচ্ছে। পুলিশের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না অনেকে। তাতেই এই হিংসার ঘটনা। তিনি আরও বলেন, যারা রাজ্য়ে হিংসা ছড়াতে চাইছে তারাই উত্তেজনা তৈরি করার জন্য ইচ্ছেকৃতভাবে রমজান মাসে সংখ্যালঘু এলাকায় প্রবেশ করছে। পবিত্র রমজান মাসে গরীবদের খাবারের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। মমতা আরও বলেন, রাম নবমীর মিছিলে কেন অস্ত্র নিয়ে নাচ করা হবে।। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আগামী ৬ এপ্রিল আরও এক দফা হিংসার ঘটনার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের। তিনি এই বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।

মমতা হিন্দু ও মুসলমানদের কাছে রাজ্যের সম্প্রতী রক্ষার অবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন এই রাজ্যের মানুষ রমজান মাসে হিংসা চায় না। রাজ্যের সমস্ত মানুষকে তিনি তাঁর ওপর আস্থা রাখতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন রাজ্যের মানুষ যদি তাঁকে এক শতাংশ দেয় তাহলে তিনি ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেবে। তিনি জানিয়েছেন আগামী কয়েক দিন তিনি দিঘায় থাকবেন। সেখানেই জগন্নাথ মন্দিরের অগ্রগতির খোঁজ খবর নেবেন।