Nadia Gold Smuggling News: দেশজুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষার আবহে সীমান্তে অবাধে সোনা পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। বিএসএফ-এর অভিযানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Nadia Gold Smuggling News: সীমান্তে আবারো সোনা উদ্ধার, বিএসএফের জালে পাচারকারী। শুক্রবার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের বানপুর এলাকায় আবারও সোনা পাচারের ঘটনা ধরা পড়ল। তৎপরতার সঙ্গে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার এক পাচারকারী। এবং উদ্ধার করেছে চার কেজিরও বেশি সোনা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
ঠিক কী ঘটেছে?
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বাড়ি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বানপুরের বাগানপাড়া এলাকায়। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যজুড়ে এসআইআর আবহ চললেও সীমান্তে পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিএসএফ।
এর কিছুদিন আগেই টুঙ্গী বিওপি এলাকায় সোনা পাচারের সময় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ এবং সেখানেও উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সোনা। ফের বানপুর এলাকায় একই ধরনের ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিএসএফ। পাচারচক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বিএসএফ।
অন্যদিকে, নাকাশিপাড়া ব্লকের ধর্মদা ৪ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দহকুলা গ্রামের বাসিন্দা সাধন বিশ্বাসের ভোটার আই–কার্ডের এপিক নম্বর ব্যবহার করছেন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের এক ব্যক্তি—এমন অভিযোগ উঠে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এসআইআর আবহে সাধন বিশ্বাসের পরিবারের অন্য সদস্যরা এনুমারেশন ফর্ম পেলেও তিনি নিজে ফর্ম না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, তার ভোট নাকি ‘স্থানান্তরিত’ হয়েছে। এদিকে ২০১৪ সালে ভোট অধিকার পান নাকাশীপাড়া ব্লকের বাসিন্দা সাধন বিশ্বাস। এর পরে তিনি প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিলেও বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে সমস্যা দেখা দেয়। এরপরে তিনি স্থানীয় ব্লক অফিসে যোগাযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভোট অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তারপরেই দু বছর কেটে যায়। বর্তমানে এস আই আর লাগু হতেই সমস্যা সামনে আসে। বর্তমানে তিনি আতঙ্কিত ও চিন্তিত হয়ে রয়েছেন।
পরে তিনি অনলাইনে ভোটার আইডি সার্চ করে দেখেন, তার এপিক নম্বরটি ব্যবহার করছেন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বস্তা প্রাইমারি স্কুলের ২১৬ নম্বর পার্টের এক বাসিন্দা। সেখানে এপিক নম্বর, নাম এবং বয়স তার সঙ্গে মিল থাকলেও বাবার নাম সামান্য পরিবর্তিত এবং ছবি পুরোপুরি বদলানো—এ তথ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান সাধন বিশ্বাস।
ঘটনা জানার পর তিনি রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও–র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষকেই প্রমাণপত্রসহ দফতরে হাজির হতে বলা হয়। নাকাশিপাড়া থেকে সাধন বিশ্বাস বিডিও অফিসে গেলেও, যিনি তার এপিক নম্বর ব্যবহার করছেন তিনি উপস্থিত হননি। সূত্র মারফৎ জানা যায়—অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে বাড়িতে নেই, পরিবারের সদস্যরাও বাড়িছাড়া। ফলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধন বিশ্বাস ফোনে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি স্বীকার করেন—টাকার বিনিময়ে ভোটার কার্ড করানোর সময় এমনটি হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি ভোটার কার্ড "তুলে নিয়েছিলেন"—এমনই দাবি সাধন বাবুর। ফোনে তাদের কথোপকথনের রেকর্ডও অভিযোগকারীর কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপির কটাক্ষের পাল্টা কটাক্ষে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

