সংক্ষিপ্ত
যে জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত মানতে রাজি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর জামিন সংক্রান্ত মামলা শুনানি ছিল।
ফের অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এবারেও সেই প্রভাবশালী তত্ত্বেই বাতিল হল কেষ্টর জামিন। অন্যদিকে যে জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত মানতে রাজি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর জামিন সংক্রান্ত মামলা শুনানি ছিল। এইদিন যে কোনও শর্তে জামিন চাইলেন কেষ্ট। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রত আইনজীবী সওয়াল করেন যে তাঁর মক্কেল আজ ৩২৩ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এবার যেন তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হয়। তাঁর কথায়,'আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট জেলবন্দি হন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না।'
অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিসাণ অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই পুরনো যুক্তিতেই জামিন খারিজের আবেদন করেন তিনি। তাঁর যুক্তি,'উনি ভীষণ প্রভাবশালী। তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায় না পৌঁছলে তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।' এরপরই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্ন করলেন 'আর কত সময় লাগবে?' উত্তরে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার জানালেন, প্রচুর নতুন তথ্য উঠে এসেছে, কিছু সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন। আরও কিছুদিন তদন্ত চলবে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দু'পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি কেষ্টর জামিন বাতিল করলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মেয়ের জামিনের জন্য প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু সেই প্রার্থনায় বিশেষ লাভ হয়েনি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফের খারিজ হল সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদন। গরু পাচার মামলায় আপাতত তিহার জেলেই থাকতে হবে সুকন্যা মণ্ডলকে। এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন সুকন্যা মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন করেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার। তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গেলেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না?
অন্যদিকে সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের বিরোধীতায় একের পর এক যুক্তি পেশ করেছেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা মণ্ডল ব্যবসার দেখাশোনা করতেন, বিভিন্ন বিষয় তাঁকে নির্দেশও দিতেন সুকন্যা। এছাড়া ইডির আইনজীবীর যুক্তি সুকন্যা শিক্ষিতা, কোনও বিষয় না জেনেই সই করেছেন এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাশাপাশি সুকন্যার বিরুদ্ধে একাধিকবার 'প্রভাবশালী তত্ত্ব' এনেছে ইডি।