সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘদিন পর মেয়েকে দেখে অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত। সুকন্যাকে জড়িয়ে ধরেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথাবার্তা চলে বাবা-মেয়ের মধ্যে।

গরু পাচার মামলায় একই জেলে ঠাঁই হয়েছে বাবা-মেয়ের। একই জায়গায় থেকেও সেল নম্বর আলাদা হওয়ায় এতদিনেও মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে দেখা হয়নি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। শনিবার অবশেষে তিহাড় জেলে মেয়ের মুখোমুখি হলেন কেষ্ট। মেয়ে 'রুবাই'কে দেখে হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে দেখে অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত। সুকন্যাকে জড়িয়ে ধরেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথাবার্তা চলে বাবা-মেয়ের মধ্যে।

তিহাড় জেলে মেয়েকে দেখে একটাই প্রশ্ন করেন আবেগপ্রবণ অনুব্রত। সুকন্যাকে দেখে কেষ্টর প্রশ্ন,'হাজিরা দিতে কেন এলি রুবাই?' বাবাকে দেখেই তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন সুকন্যা। ওষুধ ঠিক মত খাচ্ছেন কিনা জানতে চায় মেয়ে সুকন্যা। ইডি হেফাজতের পর দিল্লির তিহাড় জেলে কেষ্ট-কন্যা। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, তিহাড় জেলে বন্দি বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। ইতিমধ্যেই ইডির চার্জশিটে নাম উঠেছে কেষ্ট-কন্যারও। শনিবার ইডির চার্জশিটে ফের এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল অনুব্রত মণ্ডলের নামে। শুধু গরু পাচার নয়, বীরভূম জেলা পরিষদ থেকে টাকা তোলারও অভিযোগ উঠল অনুব্রতর বিরুদ্ধে। শুধু অনুব্রত নয় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনেরও। চার্জশিটে অভিযোগ, সায়গলের মাধম্যে জেলার পরিষদ থেকে টাকা তোলা হত। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চালকলের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে একথা জানা গিয়েছে বলে দাবি ইডির। অন্যদিকে বাবা-মেয়ের এই বক্তব্যের পার্থক্যই উঠে এল ইডির চার্জশিটে। চার্জশিটে ইডির দাবি অনুব্রত জানিয়েছেন, স্ত্রী অধুনাপ্রয়াত ছবি মণ্ডল তাঁর কোনও ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। তিনি এবং কন্যা সুকন্যা মিলের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির নির্দেশনায় সমস্ত ব্যবসা চলত। অন্যদিকে সুকন্যা নিজের বয়ানে বলেছেন,তিনি ব্যবসার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাঁর বাবা তাঁকে যেখানে সই করতে বলতেন। তিনি সই করতেন। বাবা-মেয়ের বয়ানের পার্থক্য নিয়েই এবার আরও গাঢ় হচ্ছে ইডির সন্দেহ।

আরও পড়ুন -

সায়গলের মাধ্যমে বীরভূম জেলা পরিষদ থেকে টাকা তোলা হত, ফের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির চার্জশিটে

মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চালু হল হেল্পলাইন নম্বরও

মিলছে না বাবা-মেয়ের বয়ান, ইডির চার্জ শিটে নতুন ধোঁয়াশা অনুব্রত ও সুকন্যাকে নিয়ে