সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের অভিযোগ, দলের সর্বভরতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসেবেই এই তল্লাশি অভিযান।
অভিষেকের ধর্না থেকে নজর ঘোরাতেই সাত সকালে সিবিআই তল্লাশি, এমনটাই দাবি করছে তৃণমূল। রবিবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে অভিযান নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, দলের সর্বভরতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসেবেই এই তল্লাশি অভিযান। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেছেন,'বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। নজর ঘোরাতেই রাজনৈতিক পরিকল্পনায় নামানো হল এজেন্সিকে।' তিনি আরও বলেছেন, 'এভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।' অন্যদিকে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের জবাবে বিজেপি সাফ জানিয়েছে, এজেন্সি নিজের কাজ করছে, এখানে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।
রবিবার সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। চেতলায় ফিরহাদের বাড়ি ঘিরে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর।
এদিকে সিবিআই তল্লাশির চলাকালীনই ফিরহাদের বাড়ির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা। চলছে বিক্ষোভ, দেওয়া হচ্ছে শ্লোগান। পুর নিয়োগ মামলায় বাড়িতেই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এদিকে, জানা গিয়েছে ফিরহাদ বাড়িতেই রয়েছেন। রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সোজা ঢোকেন ফিরহাদের বাড়িতে। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের একটি দল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে।
রবিবার সকালে প্রথমে কলকাতার মেয়রের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই সিবিআইয়ের আতশ কাঁচের তলায় কামারহাটির বিধায়ক। রবিবার পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপাতত বাড়িতেই আছেন কামারহাটির বিধায়ক।
মদন মিত্রের বাড়ির সামনে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। মদন মিত্রের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান ঘিরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য শুধু ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্র নয়, পুর নিয়োগকাণ্ডে কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের আরও দুই পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতে।