সংক্ষিপ্ত

ঘূর্ণিঝড় দানা বাংলায় তেমন প্রভাব ফেলেনি। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। কালীপুজোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

Weather News: আশংকা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানা বাংলায় তেমন একটা প্রভাব ফেলেনি। ঝড় না হলেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গকে কাবু করেছে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর কলকাতা থেকে জেলার পর জেলা। খটকা এখন একটাই এই বৃষ্টির কারণে কী কালীপুজোয় প্রভাব পড়বে? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস।

বৃষ্টি কি কালীপুজোতেও প্রভাব ফেলবে?

মাসের শেষ দিনে কালীপুজো। হাওয়া অফিসের মতে ৩০ অক্টোবর থেকে টানা কয়েকদিন হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের দুই জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিমান অফিস এ কথা জানিয়েছে। ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের দুটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাসের শেষে উত্তরবঙ্গও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। আবার জলাবদ্ধতায় ভুগছে বেহালা। এই প্রথম না হলেও এর আগেও দেখা গেছে জলের বিপর্যয়। প্রতিবারই প্রশ্নের মুখে পড়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তবে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় জল জমেছে। ঘরের বাইরে যাওয়া সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। আবহাওয়া দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা এখনও কাটেনি। আইএমডি সূত্রে খবর, আগামীকাল ৬টি জেলায় কমলা সতর্কতা রয়েছে। ৪টি জেলা লাল অ্যালার্টে রয়েছে। ৫টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার ধামরার কাছে পৌঁছেছে। ঘূর্ণিঝড় দানা সকালে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ছিল। নন্দীগ্রাম-খেজুরি-এগরায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে বৈদ্যুতিক তার পড়ে যাওয়ার অনেক ঘটনাই দেখা যাচ্ছে কলকাতায়। সে কারণে সবাই বিদ্যুতের তার থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছ প্রশাসন।