সংক্ষিপ্ত
চোপড়া নিয়ে বেজায় চাপে শাসক শিবির। এবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানেকে শোকজ় করা হল। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল (Trinamool) নেতৃত্বের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চোপড়া নিয়ে বেজায় চাপে শাসক শিবির। এবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানেকে শোকজ় করা হল। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল (Trinamool) নেতৃত্বের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের এক শীর্ষনেতার নির্দেশেই চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানেকে শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছে দল। এমনকি, কী মর্মে চিঠি পাঠাতে হবে তাও নাকি বলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার, উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বিধায়ককে এই শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শোকজ় নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য হামিদুলকে অন্তত ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের তরফ থেকে জবাব চলে এলেই, তা জেলা সভাপতি রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দেবেন। তাঁকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বই।
সূত্রের খবর, চোপড়ায় যুগলকে গণপিটুনির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল যে মন্তব্য করেন তার ব্যাখ্যাও চেয়েছে দল। রবিবার, দুপুরে চোপড়ার তৃণমূল নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবি-র একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন ঐ টিএমসি (TMC) নেতা।
সেইসঙ্গে, মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে আবার মাটিতে ফেলে মারা হচ্ছে। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। একইসঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যাচ্ছে ঐ ভিডিওতে।
আর ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই, শুরু হয় বিতর্ক। মুখ খুলতে শুরু করেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের দাবি, অভিযুক্ত তাজিমুল আসলে এলাকার বিধায়ক হামিদুলের ঘনিষ্ঠ। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল যে বিবৃতি দেন, তা নিয়ে আপত্তি তুলেই পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন শঙ্কর। বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছেন, তৃণমূল বিধায়ক তাঁর বক্তব্যে ‘আমাদের মুসলিম রাষ্ট্র’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।
পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, “প্রশাসনের কাছে আমি জানতে চাই যে, তৃণমূল পরিচালিত শাসকদল কবে পশ্চিমবঙ্গকে মুসলিম রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছেন? বিধানসভার সদস্য হিসেবে আমি যতদূর জানি, ভারতের সংবিধানে কোথাও কোনও মুসলিম রাষ্ট্রের উল্লেখ নেই।”
রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতেই এই ধরণের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান, “যা হয়েছে, তা একদমই ঠিক হয়নি। আমি মেনে নিচ্ছি যে, ঐ জায়গায় জাতপাত সংক্রান্ত সমস্যা হলে সালিশি সভা হয়। কিন্তু এই ঘটনাকে আমি কিংবা আমার দল একেবারেই সমর্থন করি না।”
আর এবার সোজা তাঁকেই শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছে দল। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক হামিদুলের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে তৃণমূল হাইকম্যান্ড।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।