সংক্ষিপ্ত
ভাগ্য বদল হতে সময় লেগেছিল মাত্র ১০ মিনিট। পাঁচ টা ৫০ এ ডিয়ার লটারির টিকিট কেটেছিলেন। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান মালদার সামান্য পান বিক্রিতা।
লটারির টিকিট রাতারাতি বদলে দিল ভাগ্য। মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। খুশির হাওয়া পরিবারে। রাজ্য-জুড়ে ডিয়ার লটারি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দুর্নীতি অভিযোগ তুলে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা নিত্যদিনের ঘটনা। তখনই সেই লটারিই ঘরে এনে দিল কোটি কোটি টাকা। লটারির পুরস্কার জিতলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহা এবং কৃষ্ণ দাস।
কিছু দিন আগেই ডিয়ার লটারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল-নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর বিতর্ক। তার মাঝেই এবার কোটিপতি এক পান বিক্রেতা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহার একটি ছোট পানের দোকান আছে। সেই দোকান থেকেই অতি কষ্টে দিন গুজরান করতেন তিনি। আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংগ্রাম করে দৈনন্দিন জীবন চালাতে হতো। তবে জীবনের লড়াইয়ে কখনো হার মানেনি পিন্টু। সংসার চালাতে সব সময় কঠোর পরিশ্রম করেছে। আর তার সেই দৈনন্দিন সংগ্রামে তার পাশে থাকতো শ্যালক কৃষ্ণ দাস।
কথাতেই আছে "কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে"। তাই রাতারাতি এই ভাবে ভাগ্য বদলে গেল শ্যালক এবং ভগ্নিপতির। সন্ধ্যে বেলা চা খেতে খেতে একটি লটারির দোকান থেকে দুইজনে মিলে তারা টিকিট কাটে। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে তারা টিকিট কাটে। ডিয়ার লটারির ওই টিকিটের খেলা ছিল সন্ধ্যে ৬ টার সময়। কিছুক্ষণ পরে খেলার ফলাফল দেখতেই আনন্দে আত্মহারা দুই জনেই। সবটাই যেন ছিল তাদের কাছে স্বপ্ন। পুরস্কারের এই অর্থ মূল্য সমান ভাগে ভাগ করে নেবে শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। আগেও যে ভাবে তারা এক সঙ্গে থাকতো বর্তমানেও থাকবে। খুশি পরিবারের সকল সদস্যরাই। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া কোন অসাধ্য সাধনের থেকে কম নয়। ফলাফল আসার সাথে সাথেই সুরক্ষার কথা ভেবে তারা দৌড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুরস্কার পাওয়া পর্যন্ত তাদের সুরক্ষার সব দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের। টিকিট বিক্রেতা রমেন গুপ্তা জানিয়েছেন এর আগে প্রথম পুরস্কার অবিকৃত থেকে গেছিল। সেই আফসোস আজ মিটে গেল।
কোটি পতি পান বিক্রেতা পিন্টু সাহা বলেন, পানের দোকান করতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। আমার স্যালক সব সময় আমার পাশে থেকেছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই ভাবে থাকবো। সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলবো। লটারির টিকিট বিক্রেতা রমেন গুপ্ত বলেন, লটারির টিকিট খেলার মধ্যে কোন দুর্নীতি নেই। এটা ভাগ্যের ব্যাপার যাদের পাওয়ার ঠিক পাবে। মানুষ কিভাবে কাটবে সেটা মানুষের কাছে। টিকিট কাটলে পুরস্কার পাওয়া যাবে সে রকম কোন কথা নেই।
চেন্নাই সফরে অন্য মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যপালের বাড়িতে বাজালেন সেন্ডা মেলম বাজালেন
বিদ্যুৎ দপ্তরের WBSETCL এর চাকরিতে এবার সুবিধে পাবে বাঙালিরা, বাংলা পক্ষের উদ্যোগে চালু ডোমিসাইল