সংক্ষিপ্ত

বাংলা পক্ষ বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের কথা দিয়েছিল চাকরির ক্ষেত্রে তাদের পাশে থাকার। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা তাদের কথা রেখেছে বলেই দাবি।

বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার- সহ সমস্ত চাকরিতে বিহার-উত্তর প্রদেশ-ঝাড়খন্ডের ছেলে- মেয়েরা ভরে যাচ্ছিল, বঞ্চিত হচ্ছিল যোগ্য বাঙালি চাকরিপ্রার্থীরা। এমনও দেখা গেছিল চাকরি পাওয়া ৪১ জন ইঞ্জিনিয়ারের ৩৪ জন ছিল ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। কিন্তু অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরে বাঙালি চাকরি পায় না, কারণ সেই রাজ্যের ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক ও ডোমিসাইল আছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধেই ২০১৯ থেকে বাংলা পক্ষ লাগাতার আন্দোলন শুরু করে। বিশেষ করে নজর দেয় বিদ্যুৎ ভবনে। বারবার ডেপুটেশন, বিক্ষোভ চলে বিদ্যুৎ দপ্তরকে কেন্দ্র করে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে বারংবার আলাপ আলোচনা হয় ৷ অন্যান্য সব রাজ্যের নিয়ম ডকুমেন্ট আকারে জমা করা হয় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে। আন্দোলনের ফলে আগেই WBSEDCL এর চাকরিতে বাংলা পরোক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছিল। এবার চালু হয়ে গেল ডোমিসাইল।

বাংলা পক্ষ বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের কথা দিয়েছিল চাকরির ক্ষেত্রে তাদের পাশে থাকার। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা তাদের কথা রেখেছে বলেই দাবি। বিদ্যুৎ দপ্তরের কোম্পানী WBSETCL এর চাকরিতে ডোমিসাইল চালু হল৷ বাঙালি ছেলেমেয়েদের চাকরি ও কাজের স্বার্থে এটি একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেও আশা করছে বাংলা পক্ষ ।

বাংলার মাটিতে যাতে কোনো বাঙালি ছেলেমেয়ে বঞ্চিত না হয়, সেজন্যই উদ্যোগী হয়েছে বাংলা পক্ষ। শুধু বাঙালি না, প্রতিটা ভূমিসন্তানের চাকরি ও কাজে অধিকারের জন্য লড়ছে বাংলা পক্ষ। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।

ডোমিসাইল শব্দের অর্থ হল স্থায়ী বাসস্থান। একটি আইনি শব্দ। কোনও ব্যক্তির জন্মস্থান, অঞ্চল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া। ভূমিপুত্রদের বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এজাতীয় শব্দ ব্যবহার করা হয়। চাকরির ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষ বা এলাকার মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি কাজে লাগে।