সংক্ষিপ্ত
আবাস যোজনার উপভোক্তা আসলে কারা?
ঘর পাওয়ার যোগ্য নন, এমন অনেকের নাম উপভোক্তাদের তালিকায় জায়গা পেয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসকদলকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অনেকে দাবি করছেন, তালিকায় জুড়েছে সব অদ্ভুত ভূতুড়ে নাম। সেই আবহেই এবার আবাসের তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের নাম এক নম্বরে থাকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, আবাস যোজনায় দুই বছর আগেই বাড়ি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও নতুন তালিকায় সেই পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রয়েছে একদম এক নম্বরে। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে তালিকা থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের নাম বাদ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
ঘটনাটি মূলত পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান হারু দাসের নাম নতুন আবাস তালিকায় থাকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই হারুর সাফাই, তালিকায় নিজের নাম আছে জানতে পেরেই সমীক্ষক দলকে নিয়মমতো ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। যদিও নাম বাদ দেওয়ার ব্যাপারে এখনও লিখিতভাবে কোনও আবেদন করেননি হারু নিজে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে আবাস যোজনার জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে নাম ছিল আমডাঙ্গার বাসিন্দা হারুর। সেই তালিকা মতো ২০২২ সালে আবাস যোজনার ঘরও পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তারপরেও ২০২৪ সালে, জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আবাস তালিকায় তাঁর নাম এক নম্বরে থাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এই ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি প্রধানকে বলেছি বাড়ি না নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিতে হবে। ব্লক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, নিয়মানুযায়ী আবাস তালিকা থেকে হারু দাসের নাম বাদ যাবে।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।