সংক্ষিপ্ত

গত ৫ জুন চেন্নাই থেকে ছাড়ে শালীমারগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বুধবার সকালে রাজ্যে এসে পৌঁছয় সেই ট্রেন। আবার ৭ জুন দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ শালিমার থেকে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেন।

চারদিন আগেই শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই যাত্রাই প্রাণ কেড়েছিল ২৮৮ জনের। সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে যাত্রীদের। অবশেষে আতঙ্ক কাটিয়ে ফের যাত্রা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার চারদিন পর বুধবার ফের শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিন ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। যাত্রীদের চোখে মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। গত ৫ জুন চেন্নাই থেকে ছাড়ে শালীমারগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বুধবার সকালে রাজ্যে এসে পৌঁছয় সেই ট্রেন। আবার ৭ জুন দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ শালিমার থেকে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেন। তবে দুর্ঘটনার পরের প্রথম যাত্রাও নির্বিঘ্নে হল না। সাঁতরাগাছি পেরোতে না পেরোতেই ফের বিপত্তি। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এসি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ফের আতঙ্ক শুরু হয়।

জানা যাচ্ছে সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছনোর সময় বি১, বি২ ও বি৩ কামরা এসি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। কিছুক্ষণ পর বি১ ও বি২ কামরার ঠিক হলেও বি৩ কামরার এসি বন্ধ ছিল বলেই জানাচ্ছেন যাত্রীরা। এই তীব্র গরমে হঠাৎ এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকেন যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত, বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ দিন। তবুও এখনও কাটছে না আতঙ্ক। মর্গে এখনও পড়ে বহু অশনাক্ত দেহ। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ তে। ওড়িশা সরকার জানিয়েছে এখনও ৮৩ থেকে ৮৫টি লাশ অশনাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মর্গে। এই মৃতদেহগুলি কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেটাই এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহগুলির DNA নমুনা পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে এইমসে বৈঠকেও বসেন বিশেষজ্ঞরা।

বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও শনাক্ত না হওয়া দেহগুলিকে কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেটাই এখন ওড়িশা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই মর্মে গত মঙ্গলবার একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন AIIMS ভুবনেশ্বরের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. আশুতোষ বিশ্বাস এবং খুরদা রোড ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রিঙ্কেশ রায়। তাঁরা জানিয়েছেন এখনও ৮৩ থেকে ৮৫টি দেহ বেওয়ারিস হিসেবে মর্গে পড়ে রয়েছে। AIIMS ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে ৫২টি দেহ। তাঁরা আরও জানয়েছেন ৯৬ ঘণ্টা না কাটলে অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। তাই আপাতত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত কন্টেনারের মধ্যেই দেহগুলিকে রাখার চিন্তাভাবনা করছে ওড়িশা সরকার। যদিও এখনও এই নিয়ে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি আসেনি।