সংক্ষিপ্ত
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে টাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা, সেটাই পাচ্ছিলেন এক যুবক! গত ২৬ মাস ধরে এই ঘটনা ঘটে আসছিল।
দুর্নীতির কোপে এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে গৃহিণীদের স্বাবলম্বী করতে মাসিক ১০০০ এবং ৫০০ টাকা অনুদান চালু করে সরকার। নিয়মানুযায়ী পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার ওই অনুদান পাওয়ার কথা। বরাদ্দের অঙ্ক তফসিলি জাতি-জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জনজাতিভুক্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিবার-পিছু ১০০০ এবং ‘জেনারেল কাস্ট’ বা সাধারণ শ্রেণিভূক্ত পরিবারের মহিলার প্রাপ্য ৫০০ টাকা। অনুদানের শর্ত, প্রাপক মহিলার অন্য কোনও উপার্জনের সংস্থান থাকা চলবে না।
এবার সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে টাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা, সেটাই পাচ্ছিলেন এক যুবক! গত ২৬ মাস ধরে এই ঘটনা ঘটে আসছিল। রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা গ্রামের এই ঘটনায় রীতিমত নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রশাসনিক গাফিলতি ছাড়া এই ঘটনা কোনওভাবে সম্ভব নয়।
ফরিদা খাতুন নামে এক মহিলা বারবার এই অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি টাকা পাচ্ছেন না। অথচ তাঁর নামে টাকা জমা পড়ছে। তাই সেই অভিযোগে আমল দেননি কেউ। কিন্তু কয়েকদিন আগেই সেখানে নতুন বিডিও কাজে যোগ দেন। ফরিদা তাঁর অভিযোগ নিয়ে দু’দিন আগে হাজির হন নতুন বিডিও-র কাছে। দ্রুত দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকা তুলে দেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর বিডিও দেবোত্তম সরকার। এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতিকেও অস্বীকার করছেন না বিডিও। ফরিদার অভিযোগ ছিল, তাঁর টাকাই পাচ্ছিলেন ওই যুবক। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক গাফিলতিও ছিল বলে স্বীকার করে নেন বিডিও। বাইরের দালাল চক্র এই ঘটনায় জড়িত তা জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিডিও জানান হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে ঢুকেছে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা। ওই যুবক স্বীকার করে তার গ্রামেরই বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কও তা খতিয়ে দেখেনি। ফলে দিব্যি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নিজে পাচ্ছিলেন তিনি।