সংক্ষিপ্ত
সাইবার প্রতারণার তদন্তে বড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশে। প্রশংসা করতেই হবে গোয়েন্দা বিভাগের।
সাইবার প্রতারণার তদন্তে বড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশে। প্রশংসা করতেই হবে গোয়েন্দা বিভাগের।
একসঙ্গে হরিয়ানা এবং দিল্লীর দুটি আলাদা আলাদা জায়গায় অভিযান চালিয়ে, প্রধান অভিযুক্ত মণীশ কুমার এবং সত্যেন্দ্র মাহাতোকে গ্রেফতার করল সিআইডি। বিপুল লাভের লোভ দেখিয়ে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ধৃতদের ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডে এরাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত অভিযুক্তদের ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মণীশে কুমারের বাড়ি হরিয়ানার ফরিদাবাদে। অন্যদিকে, সত্যেন্দ্র মাহাতোর বাড়ি হল দিল্লীর নিহার বিহারে।
এই অভিযুক্তরা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে চন্দননগরের (Chandannagar) একজন বাসিন্দা সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তাঁর অভিযোগ ছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (Cryptocurrency) বিনিয়োগ করে বিপুল লাভের অঙ্ক দেখিয়ে প্রতারণা করা হয়। তারপরই তদন্তে নামে সাইবার সেল। এরপর সেই তদন্তভার হাতে নেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি (CID)। তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে যে, এই প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে সমগ্র দেশজুড়েই।
সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাতে থাকেন সিআইডি আধিকারিকরা। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এরপর দুই প্রধান অভিযুক্তের বর্তমান অবস্থান জানতে পারেন তারা। সেই অনুযায়ী, তদন্তকারীরা হানা দেন ফরিদাবাদ এবং নিহার বিহারে। সেখান থেকেই শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় মণীশ কুমার এবং সত্যেন্দ্র মাহাতোকে।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, ধৃতরা গোটা দেশজুড়েই সাইবার প্রতারণার জাল বিস্তার করে বসেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যের বহু বাসিন্দাও এই চক্রের শিকার হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই একই ধাঁচে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এখন অভিযুক্ততদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।