সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার থেকেই নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার গোটা রাজই নবান্নে থেকে দানা মোকাবিলায় প্রয়োজনী নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।
রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে এখন সকাল। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় বিনিদ্র রজনী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন নবান্ন থেকে। খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপকূলবর্তী জেলার। কথা বলেছেন জেলা শাসকদের সঙ্গে। ক্ষয়ক্ষতিরও খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার থেকেই নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার গোটা রাজই নবান্নে থেকে দানা মোকাবিলায় প্রয়োজনী নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ভোররাত সাড়ে তিনটে ল্যান্ডফল করে দানা। এই রাজ্যে ঝড়ের প্রভাব তেমন না থাকলেও ভোর থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এই অবস্থায় উপকূলবর্তী জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোঁজ খবর নেন এলাকার। মন্ত্রীদেরও এলাকায় থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেয়। ত্রাণ ও সাহায্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজেরও খোঁজ খবর নেন বলে সূত্রের খবর।
দানার প্রভাবে রাত থেকেই অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উপকূলবর্তী এলাকায় রীতিমত দাপট দেখাচ্ছে দানা। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, 'মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মনুষের জীবন রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই কারণে। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাবক। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন।' গতকালও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই ডিভিসি আবার জলাধার থেকে জল ছাড়তে পারে। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগেই আমরা একটা বন্যা সামাল দিয়েছি। ডিভিসি গতকাল ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আবারও জল ছাড়বে। বাংলা যেন ওদের জল হজম করার একটি জায়গা হয়ে গিয়েছে। তার থেকে যদি ডিভিসি ঠিক ভাবে খনন করে পলি পরিস্কার করে, তা হলে ওরা আরও ৪ লাখ কিউসেক জল বেশি রাখতে পারে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।