সংক্ষিপ্ত
যতবার রাজ্যের বুকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে, ততবারই সুন্দরবন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন সেই “কান্তি বুড়ো”। তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। উপকূলবর্তী মানুষকে বাঁচাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন প্রবীণ বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি।
যতবার রাজ্যের বুকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে, ততবারই সুন্দরবন এবং রায়দিঘি অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন সেই “কান্তি বুড়ো”। বয়স হলেও বরাবরই যেন জোয়ান এবং তরতাজা তিনি। আর এবার তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। তাই আর বিশ্রাম নয়, উপকূলবর্তী মানুষকে বাঁচাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন প্রবীণ বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি।
নির্বাচনে হয়ত পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু ভুলে যাননি দায়বদ্ধতা। রায়দিঘির প্রাক্তন সিপিআই(এম) বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নদীর তীরে বসবাসকারী অসহায় মানুষদের বাঁচাতে। পরনে সেই চিরাচরিত সাদা পাঞ্জাবি এবং ধুতি। কাঁধে রয়েছে গামছা এবং এক হাতে নিয়েছেন একটি কালো ছাতা।
গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তিনি এবং কথা বলছেন এলাকার মানুষদের সঙ্গে। সতর্ক করছেন গ্রামবাসীদের। এই এলাকাকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। আবারও তাই ঝড়ের আগে সেই চেনা ছন্দে কান্তি গাঙ্গুলি।
এর আগে আইলা, বুলবুল, ইয়াস এবং আমফানের সময়তেও একইভাবে সুন্দরবনবাসীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছিল তাঁকে। এক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। নির্বাচনী প্রচারের মাঝেও নিজের সামাজিক দায়িত্ব থেকে সরে আসেননি কান্তি গাঙ্গুলি। রায়দিঘিতে ইতিমধ্যেই তাঁর উদ্যোগে চালু হয়েছে সেফ হাউস। অনেক সাধারণ মানুষ আসা শুরুও করে দিয়েছেন সেখানে।
সেই সেফ হাউসে রীতিমতো তদারকি করতে দেখা গেল এই প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতাকে। সেইসঙ্গে, গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানাচ্ছেন তিনি। যে সমস্ত বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে, তারা কিভাবে ব্যবস্থা নেবে সেই উপায়ও বাতলে দিচ্ছেন কান্তি।
অন্যদিকে, কান্তি গাঙ্গুলি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, “আমি গত ৩০ বছর ধরে সুন্দরবনের ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রত্যক্ষ সাক্ষী থেকেছি। এবার আবার আসছে রেমাল। আজকে রাতে জোয়ারও থাকবে, বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। তাই আমি আশেপাশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছি।”
কান্তি গাঙ্গুলি একটি টিমও বানিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজ করছে সেই বাহিনী। ব্যবস্থা থাকছে ত্রাণের। পাশাপাশি ত্রিপলও রাখা হচ্ছে। প্রবীণ বাম নেতা অবশ্য অভিযোগ করেছেন “রাজ্য সরকার বলছে তারা নাকি সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু আমার চোখে কিছুই পড়ছে না।”
তবে পরিস্থিতি যাই আসুক না কেন, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সামলাতে যে তিনি তৈরি আছেন তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন কান্তি গাঙ্গুলি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।