সংক্ষিপ্ত
ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মামলার শুনানি পিছল। পরবর্তী শুনানির দিন এখনও ধার্য করা হয়নি। অক্টোবরে উঠতে পারে এই মামলা।
আবারও ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। তবে পরবর্তী শুনানির দিন এখনও ধার্ষ করেনি সুপ্রিম কোর্ট । অক্টোবরে এই মামলার শুনানি হতে পারে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম জানিয়েছে এই মামলার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ধার্ষ করা হবে। শুক্রবার ডিএ মামলা উঠেছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথিলের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই রাজ্যের তরফে প্রথমে দীর্ঘসূত্রিতার কথা বলা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে ষষ্ঠবার ডিএ মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেল। এদিন আদালত জানিয়েছে যেসব মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য শুনানিতে সময় লাগে সেই সব মামলার শুনানি সোমবার ও শুক্রবার হয় না। আর সেই কারণে এদিন এই মামলার শুনানি হয়নি।
এদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। তিনি বলেন, 'রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেও.ার আবেদন করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ৪ লক্ষ সরকারি কর্মীকে ডিএ দিতে অতিরিক্ত ৪১ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। তাই এই মামলার দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে।' রাজ্যের এই যুক্তি শোনার পরই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি জানান , যেহেতু দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে তাই মামলার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা হবে।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর শুনানির জন্য প্রথমে ডিএ মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই সময় শুনানি পিছিয়ে দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। এই মামলার শুনানির জন্য নতুন একটি ডিভিশন বেঞ্চেরও গঠন করা হয়। দুই বাঙালি বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও দীপঙ্কর দত্তর এজলাসে মামলা ওঠে। কিন্তু শুনানির দিনই মামলা থেকে সরে দাড়ার দীপঙ্কর দত্ত। তারফলে সেই দিন আর শুনানি হয়নি। তারপর থেকে যাতবারই ডিএ মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে ততবারই কোনও না কোনও কারণবশত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। অথচ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী ডিএ মামলার রায়ের অপেক্ষায় দিন গুণছে। যদিও সরকার পক্ষ একাধিকবার জানিয়েছে তারা ডিএ দিতে সক্ষম নয়। রাজ্য সরকার ইচ্ছেমত ডিএ দেবে বলেও একাধিকবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সরকার কর্মীদের তিনি একাধিকবার তিরোষ্কারও করেন। রাজ্য সরকারি কর্মীরাও একাধিকবার নিশানা করেছে রাজ্য সরকারকে।
২০২২ সালে মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চমবঙ্গ সরকারকে কর্মচারীগের ৩১ শতাংশ ডিএ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সরকার আগেই আদালতে জানিয়েছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ মহার্ঘ্যভাতা হিসেবে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে সরকারি কর্মীরাও ডিএ-এর দাবিতে নাছোড়। সরকারি কর্মীদের একটি বড় অংশই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। সুপ্রিম কোর্টে শেষবার ডিএ মামলা উঠেছিল এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে।
আরও পড়ুনঃ
ঘুষ দিয়ে কারা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন? ২৯ অগাস্টের মধ্যেই নামের তালিকা চাইলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা
Chandrayaan 3: নির্ধিরিত সময়ের সফল উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ৩এর , মহাকাশে ইতিহাস তৈরি করল ভারত
রাজ্যের ২০টি বুথে ভোট বাতিলের কী প্রভাব পড়বে নির্বাচনী ফলেফলের ওপর? রইল বিস্তারিত তথ্য