- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- DA জটের মধ্যেই ডিসেম্বরে দারুণ উপহার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের, খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরা
DA জটের মধ্যেই ডিসেম্বরে দারুণ উপহার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের, খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরা
রাজ্য সরকরি কর্মীদের চাহিদা মত মহার্ঘ ভাতা দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বছর শেষে এল সুখবর। এলটিসি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।

বছর শেষে সুখবর
বছর শেষে সুখবর রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য। যদিও ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারই মধ্যে এলটিসি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা।
অর্থ দফতরের নির্দেশিকা
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য এলটিসি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ দফতর। নতুন এই নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাড়তি সুযোগ সুবিধে পাবেন।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে পাওনা
রাজ্য সরকারের সব শ্রেণির কর্মীরা এখন থেকে এলটিসি–এইচটিসি’তে ট্রেনে সপরিবারে ভ্রমণে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) শ্রেণির ভাড়া পাবেন।
৫০ হাজারের নিচে বেতন
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী যে কর্মীদের মূল বেতন ৫০ হাজার টাকার কম, তাঁরা এসি থ্রি টিয়ারের ভাড়া পাবেন।
৫০ হাজারের ওপরে বেতন
যেসব কর্মীদের বেতন ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি তারা এসি টু টিয়ারের ভাড়া পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রেনগুলিতে শুধু চেয়ারকার আছে, সেখানেও বাতানুকুল শ্রেণির ভাড়া মিলবে।
জাহাজে সফর
এলটিসি নিয়ে জাহাজে করে আন্দামান বা লাক্ষাদ্বীপ গেলে ৫০ হাজারের বেশি টাকার মূল বেতনের কর্মীরা প্রথম বা এ শ্রেণির কেবিনের ভাড়া পাবেন। তার থেকে কম বেতনের কর্মীরা দ্বিতীয় বা বি শ্রেণির কেবিনের ভাড়া পাবেন।
কর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন
এলটিসি সংক্রান্ত এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন।
পুরনো নিয়ম
এলটিসি সংক্রান্ত যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছিল, তাতে কর্মীরা ট্রেনে কোন শ্রেণির ভাড়া পাবেন, তা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি ছিল। কর্মীরা যে শ্রেণির ভাড়া পাওয়ার যোগ্য, সেটাই পাবেন— এটা বলা ছিল।
পুরনো নিয়ম
সরকারি সূত্রের খবর গ্রুপ সি এবং ডি শ্রেণির কর্মীদের কেউ কেউ এলটিসি বা এইচটিসিতে স্লিপার শ্রেণির ভাড়া পেতেন। এখন থেকে সবাই এসি শ্রেণির ভাড়া পাবেন। কর্মীরা ৫ বছর অন্তর সপরিবারে ভ্রমণ ভাতা পান।
ডিএ জট অব্যাহত
রাজ্য সরকার সরকরি কর্মীদের একাধিক সুবিধে দিলেও ডিএ নিয়ে নিজেদের অবস্থান অনড় রয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।