সংক্ষিপ্ত

শনিবার ধর্নামঞ্চেই অসুস্থ হয় পড়লেন সমরেন্দ্রনাথ রায় নামের এক অনশনকারী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে।

শনিবার ৫১ দিনে পড়ল ডিএ ধর্নামঞ্চের অবস্থান। ৩৭ দিনে পড়ল অনশন-আন্দোলন। শনিবার অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয় পড়লেন আরও এক অনশনকারী। বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে আজ ৫১ দিন ধরে শহীদ মিনারের নীচে চলছে অবস্থান আন্দোলন। চলছে অনশনও। শনিবার ধর্নামঞ্চেই অসুস্থ হয় পড়লেন সমরেন্দ্রনাথ রায় নামের এক অনশনকারী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শনিবার দিনভর শহিদ মিনারের নীচে অনশনে বসলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে চলে গণ অনশন কর্মসূচি। পাশাপাশি আজ থেকেই ডিজিটাল স্ট্রাইকও ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের বাইরে ব্যক্তিগত মোবাইল বা ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করবেন না তাঁরা। এই ডিজিটাল স্ট্রাইকের কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলন আরও জোড়দার করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন আন্দোলনকারীরা। ডিএ মামলায় পেন ডাউন কর্মসূচি এবং ধর্মঘটের পর এবার 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটলেন বিক্ষোভকারীরা। গত ১০ মার্চ ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরোতি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই সরকারি কাজকর্মে পড়েনি। ডিএ-এর পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিও ছিল তাঁদের। এবার সেই সব দাবি নিয়ে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু কী এই 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'?

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অফিস টাইমের পরও হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ সহ এই ধরনের সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে কাজের ফরমাইশ করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজের জন্য অফিসের বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আমাদের কাজ করতে হয়। এবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ধরনের গ্রুপে আসা কাজ আমরা আর করব না। এই ধরনের দাবি দাওয়া আর মেটানো হবে না।

প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ রাজ্যের কোনও সরকারি দফতরে কোনও কাজ হবে না বলেই জানিয়েছিল সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। তবে ধর্মঘট শেষে দেখা গেল শুক্রবারের ধর্মঘটের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরের কাজকরররমে। হাজিরার হারও প্রায় ৯০ শতাংশ। এই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যারা কাজে আসেননি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই কড়া রাজ্য সরকার। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই ফরম্যাট পৌঁছে গিয়েছে দফতরে দফতরে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই উপস্থিতির হার জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দফতর।

আরও পড়ুন - 

ডিএ ধর্নামঞ্চে আক্রান্ত নওশাদ সিদ্দিকে, 'সংখ্যালঘুদের জন্য কি করেছ'- প্রশ্ন করে ধাক্কা বিধায়ককে

'স্বামীর এত সম্পত্তি জানতাম না', এই দাবি করে শান্তনু নির্দোষ বলে সওয়াল স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার

অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সুর নরম করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমর্থন গেল অনুব্রত মণ্ডলের দিকেও