সংক্ষিপ্ত

আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিল ডিএ আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয় এর আগেও নানা জেলা ভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির।

 

মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দলন চলছে সরকারি কর্মীদের। বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে ফের একবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। গত কয়েক মাস ধরেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ডিএ-র দাবিতে একের পর এক আন্দোলন করেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবারই নবান্নে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও বিশেষ ফল না হওয়ায় এবার আরও জোড়ালো আন্দোলনের পথে আন্দোলনকারীরা। আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিল ডিএ আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয় এর আগেও নানা জেলা ভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির।

আগামী ২৭ এপ্রিল ডিএ-এর দাবিতে ব্লকে ব্লকে বাইক র‌্যালি করার পরিকল্পনা রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির। এছাড়া ২৮-২৯ তারিখ সব জেলার সদর দফতরে দু'দিন ব্যাপী ধর্নায় বসার পরিকল্পনা আন্দোলকারীদের। আগামী ৪ মে দুপুর আড়াইটে নাগাদ নবান্ন অভিযানের পথে কর্মীরা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের এই পদক্ষেপকে মোটেও ভালো ভাবে দেখছে না রাজ্য। ধর্নায় যোগ দিতে যাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির সামনেও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। রাজধানীতে দু'দিকের কর্মসূচি পালনের জন্য রবিবারই কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। সোমবার প্রায় ৫০০ আন্দোলনকারী জমা হয়েছেন দিল্লির যন্তর-মন্তরে। উল্লেখ্য এর আগেও নবান্নের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ধর্মঘট করেছেন সরকারি কর্মীরা। এবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল। বরং রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁদের পালটা বার্তা,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সৎ মনোভাব দেখান।' রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারির প্রভাব কোনওভাবেই আন্দোলনে পড়বে না বলে সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়, সরকারের চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না কর্মী সমাজ ও শিক্ষক সমাজ। আন্দোলনে অনড় থাকার কথাই জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকার সৎ মনোভাব দেখাক, রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সেটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে।' তাঁরা আরও জানান,'ওঁরা যত ভয় দেখাবে যত চোখ রাঙাবে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ততই খারাপ হবে, ফলে রাজ্যটা রসাতলে যাবে।'