সংক্ষিপ্ত

গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটামুকুলতলায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই সময় এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয় মহিলারা।

 

চোর সন্দেহে এক যুবককে থানায় নিয়ে নিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট। পুলিশের বিরুদ্ধে পথে নামেন স্থানীয় মহিলারা। ঝাঁটা চটি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। ব্যারিকেড ভেঙে স্থানার দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জ়ড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে ঢোলাহাট এসডিপিও।

স্থানীয় সূত্রের খবর গত ৩০ জুন ঝোলাহাটের ঘাটামুকুলতলায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই সময় এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। যুবককে আটক করে রাখা হয়েছিল। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে বাড়ি ফিরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁকে প্রথমে মহুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিত অবস্থার অবণতি হওয়ায় ডায়মন্ড হারহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার রাতে সংশ্লিষ্টের মৃত্যু হয়।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ওই যুবককে পুলিশ অত্যাচার করে। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পুলিশ লকআপের যুবককে মারধর করার অভিযোগ তুলে সরব হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এক সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ টার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়। সুন্দরবন পুলিশ সুপারের কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে নিহতের পরিবার। বিক্ষোভকারীদের দাবি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।