সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফঢ় থেকে বাগ কমিটির মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
ফের রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফঢ় থেকে বাগ কমিটির মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুপ মন্তব্যের জন্যই আদালতকে মুখ খুলতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়,'যেভাবে তৃণমূল এবং বিশেষ করে অভিষেক ব্যানার্জি সব জায়গায় ধাক্কা খেতে খেতে শেষে কোর্টেও ধাক্কা খেলেন এবং আদালতকে টার্গেট করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন, এরপরে সংবিধান ও কোর্টের সম্মান ভুলুন্ঠিত হয়েছে। আদালতকেও তাই মুখ খুলতে হচ্ছে। কোর্ট যে রাজনীতির উর্ধে, তা প্রমাণের জন্যই মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে হচ্ছে।' পাশাপাশি তৃণমূল বারবার কোর্টকে টার্গেট করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,'ইউপিএ চাইছে পরিধি বড় হোক। এনডিএ ও তাই চাইছে। কিন্তু কারা যাচ্ছে? তাদের কি শক্তি আছে? পাটনায় পিকনিক করেছে। এবার ব্যাঙ্গালোরে ব্যাঙ্কোয়েট করবে। কংগ্রেস হয়তো এটাকে বিজয় উৎসব করতে চাইছে। এটাই ওদের শান্তনা।'
পুননির্বাচন প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,'এর বড় কারন, ভোটের পাশাপাশি গণনাতেও লুঠপাট। সাড়ে ৬ হাজার বুথ নিয়ে আমরা হাইকোর্ট গেছি। বিচার হবে। ১০ জুলাই যে ৬৯৬ টায় রি পোল হয়েছে,তার ৬৫০ টি বিরোধিরা জিতেছে। সত্যিই যদি রি কাউন্টিং বা রি পোলিং হয়, তাহলে তৃণমূল অর্ধেকের বেশি আসন হারাবে।' এছাড়া , লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। লোকসভায়য় বিজেপির গতি প্রকৃতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান এবার ৪৭ হাজার প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি, আগেরবার যা ছিল মাত্র ২১ হাজার। ২৪-এর নির্বাচনে এক ডজন সিট বিজেপির হাতে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভোট হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন তিনি। আগামী ১৯ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধি মিছিল করবে বিজেপি। অর্জুন সিং-এর মন্তন্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন,' কারন সব থেকে বেশি বোমা আছে ওনার এলাকায়। সেই কারণে এলাকা সারাবছর শিরোনামে থাকে। উন্নয়নের কোনো খবর ওনার এলাকা থেকে পাওয়া যায়না।' মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'সাধারণ মানুষ এখানে অত্যাচারিত। আর মণিপুরে গত ৪০ বছর ধরে আগুন জ্বলেছিল। কারন পাশেই অন্য প্রতিবেশী দেশ আছে। বিজেপি সরকারই তাকে থামিযেছে। সাড়া দেশে মোদীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। তারই অঙ্গ মণিপুর। তাই অশান্তি থামছে না।'