Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রতি বছরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশিত হয় পত্র-পত্রিকা। উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত জনপদ ময়নাগুড়িতে শিক্ষা-সংস্কৃতির চর্চা হয়ে আসছে। সেখানেই মহালয়ার দিন প্রকাশিত হল শারদীয়া পত্রিকা।
KNOW
Mahalaya 2025: উত্তরবঙ্গের সুপরিচিত সংবাদপত্র 'প্রবাহ তিস্তা তোর্ষা'-র শারদ সংকলন প্রকাশিত হল মহালয়ার বিকেলে। এদিন ময়নাগুড়ি মনোরঞ্জন সাহা মেমোরিয়াল বিএড কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে পত্রিকাটির শারদ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন ইতিহাসবিদ বঙ্গরত্ন ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গরত্ন ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদ রঞ্জন রায়, ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, খাগড়াবাড়ির প্রধান সীমা রায়, মনোরঞ্জন সাহা মেমোরিয়াল বিএড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ সাহার মা মায়া সাহা, পত্রিকার সম্পাদক ড. কৃষ্ণদেব, সহযোগী সম্পাদক মনোজ সাহা, কৌশিক শীল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপকবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক বৃন্দ।
জলপাইগুড়ির একমাত্র সংবাদপত্র
'প্রবাহ তিস্তা তোর্ষা' বিগত ৩০ বছর ধরে পাক্ষিক সংবাদপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। জলপাইগুড়ি জেলা থেকে প্রকাশিত একমাত্র সংবাদপত্র 'প্রবাহ তিস্তা তোর্ষা' সম্প্রতি সাপ্তাহিকে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রত্যেক বছর পত্রিকার শারদ সংকলনে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির লেখক, কবি সাহিত্যিকরা কলম ধরেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবারের সংখ্যায় ১৬ টি গল্প, ১০টি প্রবন্ধ এবং ৩২টি কবিতা স্থান পেয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শমীক চক্রবর্তী।
দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত ঝারআলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবারের দুর্গাপুজো এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। প্রায় ৩০০ জন মহিলা একজোট হয়ে আয়োজন করছেন মহামায়া সার্বজনীন মহিলা পরিচালিত দুর্গাপূজা। এবারে ১৩ বছরে পদার্পণ করল এই আয়োজন। শুধু উৎসব নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বিশেষত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ তুলে ধরা হচ্ছে এই পূজোর মূল থিমে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই পূজোর যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহিলারাই। গ্রামের প্রধান সোনাবালা রায় নিজে হাতে সবকিছু দেখভাল করেন। বাজেট তৈরি, মণ্ডপসজ্জা, ভোগ রান্না, অতিথি আপ্যায়ন সবই সামলাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। পুরুষেরা পাশে থাকলেও নেতৃত্বে রয়েছেন নারীরাই। ফলে এ আয়োজন নারীশক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


