Nadia ED Raid: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে কাঠ মিস্ত্রির সঙ্গে পাক নাগরিকের যোগসাজশ! নদীয়ায় কাঠ মিস্ত্রির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে নামল ইডি। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Nadia ED Raid: 'SIR' আবহের মধ্যেই এবার সপ্তাহের শুরুতেই ফের অ্যাকশন মোডে নামল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেটর। সাত সকালে নদীয়ার চাকদহে এক কাঠ মিস্ত্রির বাড়িতে ইডি হানা। জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের চক্র কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তার হদিশ পেতে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
কী কারণে ইডির তল্লাশি অভিযান?
সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের আতঙ্কের আবহে সোমবার সকালে নদীয়ায় ইডি হানা। SIR আবহে ভুয়ো নথিতে পাসপোর্ট তৈরির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা। এদিন সকালেই ইডি আধিকারিকরা চাকদহের বিপ্লব সরকার নামে এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে হানা দেয়। এই বিপ্লব সরকার পেশায় রাজমিস্ত্রি। এবং তারা দুই ভাই-ই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাহলে কী করে তারা ইডির নজরে?
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিককে। সেই সময় ইডি আজাদের সূত্র ধরেই উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া জেলার গেদে সীমান্ত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই সোমবারও তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। সম্প্রতি নদীয়া থেকে ইন্দুভূষণ হালদার নামে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয় পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের মামলায়। আজাদ মল্লিকের ভারতীয় পাসপোর্ট রিনিউ করে দিয়েছিল এই ইন্দুভূষণ। অভিযোগ, এদিন বিপ্লব সরকারের বাড়িতে ইডি অভিযানের পর পাসপোর্ট ও বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হয়।
এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ইডির তল্লাশি অভিযান। জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতি লক্ষ্য করায় তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় ইডি আধিকারিকরা। ইডি অধিকারিকদের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সোমবার তাদেরকে আটক করে কলকাতার ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে শুধু জাল পাসপোর্ট চক্রই নয়। ভারতে এসআইআর আবহে সীমান্তে বেড়েছে বাংলাদেশি গ্রেফতারের সংখ্যা। SIR–নিয়ে যখন গোটা রাজ্য জুড়ে চর্চা, ঠিক তখনই নদীয়া থেকে উঠে এল আরও এক নতুন চাঞ্চল্য। গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ আটক করেছে এক বাংলাদেশি ব্লগারকে। ধৃতের নাম মুফতি আবদুল্লা আল মাসুদ। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন মাসুদ। সম্প্রতি গয়েশপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় খুব একটা মেলামেশা করতেন না মাসুদ। আচমকাই দু’দিন আগে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তারপর থেকে চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কী অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর পরিচয় ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, যে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাসুদের চলাফেরা ছিল বেশ গোপনধর্মী। তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না কেউই। ঘটনাটি সামনে আসতেই গয়েশপুরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্যের ঢেউ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


