সংক্ষিপ্ত
গ্রেফতারির পরও তাকে কটক হাসপাতালেই রাখা হয়। শুক্রবার কটকের রুদ্র হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর।
গ্রেফতার হওয়ার একদিনের মাথায়ই মৃত্যু হল এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। বিস্ফোরণে গুরুতরভাবে জখম হয়ে কটকের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারির পরও তাকে কটক হাসপাতালেই রাখা হয়। শুক্রবার কটকের রুদ্র হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ছেলে ও ভাইপোকেও। এগরা বিস্ফোরণের তিন দিনের মাথায়ই মৃত্যু হল মূল অভিযুক্তের।
এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনার দু'দিনের মাথায় ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপ্রসাদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে। বৃহস্পতিবার কটকের হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় তাঁকে। সিআইডির দাবি, বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই বাইকে করে এগড়া থেকে ওড়িশার দিকে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলেও। ওড়িশায় এসে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ভানু।
জখম গুরুতর হওয়ায় এক্ষুণি তাঁকে নিয়ে আসা হবে না। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে আপাতত কটক হাসপাতালেই রাখ হবে ভানু বাগকে। এরপর ভবানীভবনে নিয়ে আসা হতে পারে। মঙ্গলবার এই বিস্ফোরণের পরেই বাজি কারখানা সিল করে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাড়ির মধ্যেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আসপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। গোটা কারখানাটি ধসে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর তিন মহিলা-সহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।