সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর বেশি জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে স্বনির্ভর রাজ্য তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আগামী বছর ভোট, সেই লক্ষ্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার চতুর্থবার ক্ষমতায় ফিরতে এখন থেকেই বদ্ধ পরিকর। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে খুশি করতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলছে তৃণমূল সরকার। সূত্রের থবর আগামী দিনে অনেকটাই কমতে চলছে রাজ্যে বিদ্যুতের খরচ(electricity bill)। এই রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে সাধারণের বাড়িতে। যা নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা রয়েছে। আর সেই কারণেই বিদ্যুৎ বিলের চাপ কমিয়ে কিছুটা হলেও মধ্যবিত্তের মন জয় করার চেষ্টা করতে চলছে সরকার।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর বেশি জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে স্বনির্ভর রাজ্য তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেশি। যার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। রাজ্য বিদ্যুৎ তৈরিতে স্বনির্ভর হলে মধ্যবিত্তের ওপর খরচের বোঝা অনেকটাই কমবে বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমবঙ্গের দেউচা পাচামি কয়লা খনিকে কেন্দ্র করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশেষ পরিকল্পা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা খনি। জানা গিয়েছে এই কয়লা খনিতে বিশাল পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে। যেগুলি উৎপাদনের মাধ্যমে ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। যার কারণে রাজ্যের বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনে করছে দেউচা পাচামি কয়লা খনি যে পরিমাণ কয়লা পাওয়া যাবে তা আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজ্যে শিল্পের বিকাশ হবে। যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কিছুটা সেখান থেকে তোলা হবে। আর তারই জেরে মধ্যবিত্তের ওপর বিলের চাপ অনেকটাই কমবে। পশাপাশি এই কয়লা খনি দেখে রাজ্যে নতুন করে শিল্পায়ন আর কর্মসংস্থানেরও পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
