সাসপেন্ড হওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য তমলুকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতির। নতুন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

সাসপেন্ড হওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য তমলুকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতির। নতুন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। দলের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থসারথি মাইতি।

পার্থসারথীর মন্তব্যঃ

পার্থসারথী বলেছেন, 'আমার যদি মৃত্যু হয় তারজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।' পার্থসারথীবলেন, তাঁর যে নিরাপত্তা ২০ সালে দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী নানা জায়গায় গন্ডোগল করছিল। তিনি ভোট কুশলী সংস্থা আইপ্যাককেও তুলোধনা করেন। বলেন, 'IPAC বলে একটি বড় সংস্থা রয়েছে। যিনি সবাইকে নজরে রাখেন। তুমি টাকার বিনিয়মে এসেছে বাবা। তোমাকে জেতাতে। কীভাবে জেতাবে? আমাদের কথা না শুনেই একটা দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে চেয়ারম্যান করেছ। কর্মীদের কাছে আবেদন, যেখানে দেখবেন সেখানে বেঁধে রাখুন।' আইপ্যাক নিয়ে মন্তব্য করার পরই পার্থকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে তৃণমূল।

চেয়ারম্যান পদ নিয়ে টানাটানি

তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে টানাটানি। নতুন চেয়ারম্যানের ডাকা বোর্ড মিটিং-এ গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের ৯ কাউন্সিলর সহ ১১ জন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন পার্থসারথি। তিনি নতুন কাউন্সিলরকে একাধিকবার আক্রমণ করেন। তিনি নতুন চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়াকে শুভেন্দুর ভাবশিষ্য বলেও কটাক্ষ করেন। তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও তোলাবাজ বলেও আক্রমণ করেন। তারপরই দল তাঁকে সাসপেন্ড করেন।