বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্টের সরস্বতীপুর জঙ্গলে গাছ তলায় বসেই চলছে এসআইআর-এর ফর্ম ফিল-আপ, চরম ভোগান্তিতে বাগান শ্রমিকরা। চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বিএলওকেও।
জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্টের অন্তর্গত সরস্বতীপুর জঙ্গলে এক অদ্ভুত ছবি —পরিকাঠামোর অভাবে জঙ্গলের মাঝখানে গাছতলায় বসেই চলছে SIR এর ফর্ম ফিল-আপের কাজ। এলাকায় কোনও উপযুক্ত স্থাপনা বা কমিউনিটি হল না থাকায় বাধ্য হয়েই বনাঞ্চলের খোলা জায়গায় টেবিল-চেয়ার পেতে ভোটারদের ফর্ম পূরণ করাতে হচ্ছে।
SIR ফর্ম ফিলাপ জঙ্গলে
চা বাগানের শ্রমিকদের ভিড়, সরস্বতীপুর গুদাম লাইনসহ আশপাশের এলাকায় সিংহভাগ ভোটারই চা বাগানের শ্রমিক। ভোরে কাজে যোগ দিতে হয় বলে তারা শুধুই মধ্যাহ্নভোজের ক্ষণিক বিরতিতে এসে ফর্ম পূরণ করতে পারছেন। আর এই অল্প সময়ে শত শত শ্রমিককে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন BLO বা বুথ লেভেল অফিসাররা। চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের অধিকাংশই পড়াশুনা জানেন না। তাই জটিল ফর্ম পুরণ করতে বিএলও-রাই তাদের ভরসা।
বাংলা না জানায় সমস্যায় পড়ছেন বহু ভোটার । ফর্ম শুধুমাত্র বাংলায় থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে। এলাকার বহু বাসিন্দাই বাংলা পড়তে বা লিখতে পারেন না। ফলে ফর্মের খুঁটিনাটি অংশ বুঝিয়ে পূরণ করাতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ভুল হলে আবার তা সংশোধন করতে হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ। সংশ্লিষ্ট বিএলও জানিয়েছেন ২৫ কিলোমিটার দূর থেকে এসে কাজ করেন তিনি। বেলাকোবা থেকে বৈকুণ্ঠপুর আসেন তিনি। তারপর দিনভর এই জটিল কাজ করতে হয়। যা যথেষ্টই কষ্টসাধ্য বলেও তিনি জানিয়েছেন। তারওপর এলাকায় উপযুক্ত কমিউনিটি হল বা পরিকাঠামো না থাকায় খোলা আকাশের নিচে বলেই গুরুত্বপূর্ণ নথি পুরণ করতে হচ্ছে। যা যথেষ্ট চাপের বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাঁচটি টেবিল পেতে স্বেচ্ছায় পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয়রা অবস্থা সামাল দিতে এগিয়ে এসেছেন এলাকার মানুষজন। জঙ্গলের ভেতরেই পাঁচটি টেবিল পেতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সহযোগিতা করছেন অনেকেই, যাতে দ্রুত কাজ এগোয় এবং শ্রমিকরা কম সময় নষ্ট করেন।


