প্রতিদিনের মতো রবিবারেও সকালে মেমারি থানা এলাকার বিরে পলতা গ্রামের বছর তেরোর রিঙ্কু ক্ষেত্রপাল ফুল তুলতে গিয়েছিল। ঠিক সেসময় আচমকা তার ডান পায়ে জড়িয়ে বিষধর গোখরো সাপ দংশন করে। সাপ দেখেই রিঙ্কুর চিৎকার শুরু করে।
হাসপাতালে এসে মেয়েকে বাঁচাতে চিকিৎসকদের সামনে কান্না জুড়ে দেন বাবা। চিকিৎসায় সুবিধে হবে ভেবে হাতে ধরা বিষাক্ত সাপ। বাবার কাতর আর্জি , ডাক্তারবাবু আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচান। বাবার কান্না , হাতে ধরা সাপ আর মেয়ের অবস্থা দেখে দ্রুত চিকিৎসা করতে প্রস্তুত হলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। শেষরক্ষা হল না। চোখের সামনে ১৩ বছরের মেয়েকে এভাবে চলে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রবিবারেও সকালে মেমারি থানা এলাকার বিরে পলতা গ্রামের বছর তেরোর রিঙ্কু ক্ষেত্রপাল ফুল তুলতে গিয়েছিল। ঠিক সেসময় আচমকা তার ডান পায়ে জড়িয়ে বিষধর গোখরো সাপ দংশন করে। সাপ দেখেই রিঙ্কুর চিৎকার শুরু করে। ছুটে আসে তার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে মেয়েটির ডান পায়ে শক্ত করে দুটি বাঁধন দেওয়া হয়।
এদিকে সেই সাপটি দেখেই ধরে বালতিতে বন্দি করে ফেলেন রিঙ্কুর বাবা। এরপর চিকিৎসায় সুবিধে হবে ভেবে সাপটিকেও মেয়ের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে তিনি মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করার জন্য চিকিৎসকদের কাছে আর্জি জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি মেয়েটিকে। চিকিৎসকের কাছে মেয়ের প্রাণ ভিক্ষা করতে থাকেন বাবা। কিন্তু বাঁচানো গেল না কিশোরীকে।
সূত্রের খবর, সকাল ৬টা নাগাদ সাপের দংশন হলেও প্রতিবেশীরা সকাল ৭টা নাগাদ মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। চিকিৎসা পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে মেয়েটি। এক প্রতিবেশী আক্ষেপের সুরে বলেন, মেয়েটিকে ফুল তুলতে যাওরার সময় ডান পায়ে ছোবল দিয়েছিল বিষধর সাপ। মেয়েটির ভালো চিকিৎসা হবে ভেবে সাপটাকেও ধরে নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তারকে প্রমাণ দেখানোর জন্য। যাতে চিকিৎসা ভালো করে হয়। তবুও ফুটফুটে মেয়েটাকে বাঁচানো গেল না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
